বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। কারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আমরা সব থেকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। বিনিয়োগ বান্ধব আইন ও নীতিমালা করে দিয়েছি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সেবা-পরিষেবাসহ নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

বিনোয়োগকারীদের যেকোনো সমস্যা হলে আমরা তার সমাধান করে দেবো। ’ 

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে জাপানের জন্য করা স্পেশাল ইকোনোমিক জোন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।    

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ এমন একটি জায়গায় অবস্থিত; যা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন করে দিতে পারে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা বাংলাদেশ। দিক্ষণ এশিয়ায় একটি বড় বাজার রয়েছে। ’ 

বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের বাজার হতে পারে। দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ তো আছেই। ’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে আমাদের সমুদ্র পথ, আকাশ পথ, রেল পথ ব্যবহার করতে পারবে। আমি আশা করি, বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ করতে আসবে। ভারত, চীন, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তারা এখানে বিনিয়োগ করবে। তাদের জন্য আমরা আলাদা আলাদা অঞ্চল করে দেব। ’

পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের ওপর সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি জমি বাঁচাতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। ’

শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়াতেই ইকোনোমিক জোন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। এরই মধ্যে ৯৭টি অঞ্চল নির্ধারিত হয়েছে। অনেক অঞ্চল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। সেগুলো থেকে ৪-৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী প্রজন্ম উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করবে। নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে তাদে জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। ’ 

জাপানের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাপান আমাদের আকৃত্রিম বন্ধু। যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। স্বাধীনতার পরও তারা পাশে ছিল। যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু ও রূপসা সেতু নির্মাণে জাপান আমাদের পাশে ছিল। এছাড়া মেট্রোরেল, বিমানবন্দর, সি-পোর্ট, মাতারবাড়ি কায়লভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপান সরকারের সহযোগিতায় নির্মাণ হচ্ছে। আমরাও জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে যাচ্ছি। আমাদের সম্পর্ক আটুট। ’ 

এ সময় বাংলাদেশের পাশে থাকায় জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

news24bd.tv/ইস্রাফিল