গ্রাহকদের আমানত নিয়ে উৎকণ্ঠার কিছু নেই। সব গ্রাহকের আমানতই নিরাপদ আছে। নিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব জানিয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
এসময় মওলা দাবি করেন, ইসলামী ব্যাংকে আমানতের কোনো সংকটও নেই।
সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে মুনিরুল মওলা খোলা মেলা কথা বলেন। ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি জানান, মহামারির পর খাদ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশের বড় আমদানিকারকদের এলসি খুলেছে ইসলামী ব্যাংক।
তিনি বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছি যে আমাদের সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে। কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে নিয়ম মেনে আসছি সেই নিয়মেই এই বিনিয়োগগুলো করা হয়েছে। গণমাধ্যমে বলা হয়েছে 'লুটপাট' করা হয়েছে কিন্তু ইসলামী ব্যাংকে এ ধরনের কোনো সুযোগই নেই।
ব্যাংকটির পরিচালক আরও জানান, কোনো ঋণগ্রহীতাকে নগদ টাকা নয় নিয়ম-কানুন মেনেই বিনিয়োগ করা হয়েছে। খাদ্য আমদানির জন্য যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা দেশে পৌঁছেছে। ফলে খাদ্যপণ্য বিক্রি হওয়ার সাথে সাথে টাকা ব্যাংকে চলে আসবে বলে জানান ব্যাংকের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সংকটের সময়ে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো দেশের সবথেকে বৃহৎ ব্যাংক হিসেবে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে কারণে এলসিগুলো খুলেছি। এটা বলা যায় নিজেদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই করা।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখে প্রবাসীরা দেশে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে টাকা তুলে নিতে বলেন ইসলামী ব্যাংক থেকে। শুরুতে বিভ্রান্ত হয়ে কিছু টাকা গ্রাহক তুলে নিলেও পরে আবারও জমা রাখেন বলে জানান ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, আমাদের গ্রাহকরা ব্যাংকে এসে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে গেছেন।
দেশের শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংক হওয়ার কারণে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের এই সাফল্যে অনেকে ঈর্ষান্বিত। তাই এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে যাওয়া খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি এলসি খুলেছে বলে জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
উল্লেখ্য, এক কোটি ৯০ লাখ গ্রাহককে সাথে নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আট কোটি মানুষ এই ব্যাংকের সাথে যুক্ত। যার মাধ্যমে ৯০ লাখ পরিবারের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।
মোট ছয় হাজার আউটলেটের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। প্রবাসীদের প্রতি ১০ জনের আটজনেরই অ্যাকাউন্ট এই ব্যাংকে। ফলে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে তার ৩০ ভাগই আসে এই ব্যাংকের মাধ্যমে।
news24bd.tv/FA