মাছের প্রজেক্টের মালিকানা নিয়ে বিরোধ, যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সংগৃহীত ছবি

মাছের প্রজেক্টের মালিকানা নিয়ে বিরোধ, যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লার তিতাসে মাছের প্রজেক্টের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে কুপিয়ে জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। এর আগে জহিরকে পুলিশের সামনে থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি করেন তার স্বজনরা। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার মানিককান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জহিরুল ইসলাম ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে।

তিনি ঢাকার ইসলামপুরে কাপড় ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শনির আখড়ায় বসবাস করতেন।  তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতিও ছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি মাছের প্রজেক্ট নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো।

মঙ্গলবার সেখানে সাইফুল ইসলামের ছেলে সোহরাবসহ অন্যরা মাছ ধরতে যান। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে জহির পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে এলে তাকে ধরে নিয়ে যান সোহরাবসহ অন্যরা।  

পরে সোহরাবদের বাড়িতে জহিরকে গেইট লাগিয়ে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। আহত জহিরকে টিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে জহিরের মৃত্যুর খবরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন তার স্বজনরা।  

নিহত জহিরের ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের কেনা জায়গায় জোর করে মাছ ধরে নিয়ে গেলে জহির বাধা দেয়। এতে সাইফুল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী রাম দা'সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করা হয়। এ সময় আরও ৬-৭ জন আহত হয়েছেন।  

সাইফুল ইসলাম মেম্বার বলেন,  আমার পুকুরের মাছ জোর করে ধরে নিতে আসলে আমার লোকজন বাধা দেয়। তারা বাধা আমান্য করে। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়।

তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, মাছের প্রজেক্ট নিয়ে পূর্ব বিরোধ থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।

news24bd.tv/হারুন