কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন শিথিল করল চীন

সংগৃহীত ছবি

কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন শিথিল করল চীন

অনলাইন ডেস্ক

‘জিরো কোভিড নীতিতে’ চললেও মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি চীন। প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছিল। এমতাবস্থায় করোনার বিধিনিষেধ বন্ধ করতে রাস্তায় নামে দেশটির জনগণ। অবশেষে চীনজুড়ে কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন ব্যবস্থা শিথিল করলো শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।

খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন ব্যবস্থা শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা আক্রান্তদের আর কোয়ারেন্টিন ক্যাম্পে থাকতে হবে না। ঘরে থেকেই কোয়ারেন্টিন পালন করতে পারবেন তারা।

এ ছাড়া পাবলিক প্লেস, স্কুল ও হাসপাতালে যেতে পিসিআর টেস্টের বাধ্যবাধকতা বাদ দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে নাগরিকদের বিক্ষোভের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই বিধিনিষেধের এই পরিবর্তন এলো।

বিবিসি বলছে, ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিন পালন অজনপ্রিয় ছিল। কারণ এর ফলে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত আক্রান্তরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারা বছর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। হাংজু শহরের এ রকমই একটি ভিডিও গত সপ্তাহে ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে জোর করে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন গার্ডরা। এ সময় তাদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান ওই ব্যক্তি।

বুধবারের এ ঘোষণার ফলে বোঝা যায়, চীন জিরো কোভিড নীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এমনকি ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচার প্রচেষ্টায় রয়েছে। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যেসব ঘোষণা এসেছে সেগুলো হলো- লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ আরও সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগ করা, নতুন কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত না হলে পাঁচদিনের মধ্যে ওই এলাকায় লকডাউন বন্ধ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহামারি আকারে আক্রান্ত না হলে সেগুলো খোলা রাখা।

করোনার বিধিনিষেধের জন্য নভেম্বর মাসে চীনজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েক দশকের মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ বলে ধারণা করা হয়। এর পরেই বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা এলো।

news24bd.tv/মামুন