বর্তমান সময়ে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শরীফুল ইসলাম রাজ। ২০১৬ সালে 'আইসক্রিম' সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় তার। চলতি বছর 'পরাণ', 'হাওয়া', 'দামাল'- পরপর তিন সিনেমায় অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন এই অভিনেতা। রাজের অভিনীত সিনেমাগুলো বেশ সাড়া ফেলেছে।
তবে তাকে নিয়ে নতুন খবর চাউর হয়েছে। রাজ নাকি প্রতি ছবিতেই ৩০ লাখ টাকা করে হাঁকছেন। খবরটি গণমাধ্যম থেকে শুরু করে ফেসবুকে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপ ছড়িয়ে এফডিসি পাড়ায় আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকেই রাজের এই পরিমাণ পারিশ্রমিক চাওয়াটা বাড়াবাড়ি বলছেন।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের রাজ বলেন, 'আমি তো কোনো গণমাধ্যমে আমার পারিশ্রমিকের কথা বলিনি। আমার মুখ থেকে কি এই পরিশ্রমিকের কথা কেউ শুনেছেন? পারিশ্রমিকটা আমার কাছে একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি যে প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে কাজ করব, তাঁদের সঙ্গে আমার পারিশ্রমিক নিয়ে কথা হবে, কথা হয়। এটি বাইরে কারও সঙ্গে শেয়ার করার বিষয় নয়। তা ছাড়া আমি নিজ থেকে তো এ ধরনের কথা কাউকে বলিনি। অথচ বেশ কয়েক দিন ধরে এটি নিয়ে হইচই হচ্ছে। বড় ইস্যু বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে। এটি নিয়ে ইস্যু বানিয়ে কার এতে লাভ?'
এই অভিনেতা আরও বলেন, 'একটা বড় বাজেটের ছবিতে একজন শিল্পীকে যদি প্রায় দেড় বছর ধরে কাজ করতে হয়, ওই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ছবিতে কাজ করতে পারবেন না বলা হলে, তাহলে ছবির বাজেট অনুযায়ী ওই শিল্পী যদি এই পারিশ্রমিক চেয়েই থাকেন, ওই শিল্পীর অপরাধ কী? তাঁর মতে, শিল্পীদের জীবনের বাস্তবতায় অনেক খরচের ব্যাপার আছে। সুতরাং ভালো সিনেমা, অভিনয়ের বাইরেও পারিশ্রমিকের বিষয়টিও বড় ব্যাপার তাদের কাছে। '
রাজ আরও বলেন, '২০১৬ সালে আমি সিনেমা শুরু করেছি। ছয় বছর পরে এসে কি সেই আগের পারিশ্রমিকেই কাজ করব?'
রাজ বলেন, 'আগের সেই পরিবেশ পরিস্থিতি তো নেই এখন। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। তাহলে কীভাবে একজন শিল্পী তাঁর নিজের জীবনযাপন ও পরিবারের ব্যয় বহন করবেন। '
৩০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক ধরে একজন শিল্পী হিসেবে তাঁকে নানা জায়গায়, নানা মহলে ছোট করা হচ্ছে, হাস্যরসের পাত্র বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন রাজ। বলেন, 'যদি আজ পারিশ্রমিক বেশি হওয়ার খবরটি বলিউড, টালিউডে ঘটত, তাহলে সেখানকার শিল্পীদের অ্যাপ্রিশিয়েট করা হতো। আর আমাদের এখানে উল্টোটা। শিল্পীদের ছোট করা হয়। দুঃখজনক এটি। '
news24bd.tv/রিমু