অপেক্ষা করুন, খেলা তো হবেই : কাদের

সংগৃহীত ছবি

অপেক্ষা করুন, খেলা তো হবেই : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপেক্ষা করুন, খেলা তো হবেই। ফুটবলের মাঠে খেলা হচ্ছে। রাজনীতির মাঠেও খেলা হবে। নির্বাচনে খেলা হবে।

অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে।  

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাড়াবাড়ি কেন করছে আমরা জানি। তারা নয়াপল্টনে অফিসে গিয়ে নাকি আশ্রয় নেবে এবং আগুন-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামবে। একটু আগে খবর পেলাম, ১০ তারিখ আসতে না আসতেই তারা অফিসের সামনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।

বুধবার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন আমরা একটু বিপদে আছি। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত নেত্রী আছে। তাই আমরা পরিস্থিতি সামলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছি। এখন আমাদের মূল্যস্ফিতি কমে আসছে। ধীরে ধীরে জ্বালানি আমরা পেয়ে যাচ্ছি। দ্রব্যমূল্য আরও কমতে থাকবে। দেশে এখন আর বিদ্যুৎ সংকট নেই। কোথাও সেভাবে এখন আর লোডশেডিং নেই। ধীরে ধীরে আর লোডশেডিং দেশে থাকবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে কত ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ মানুষের প্রতিবাদ হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতের দেশ। আজকে কিছু সময় লোডশেডিং হচ্ছে। এটা ভবিষ্যতে থাকবে না। অপেক্ষা করুন, খেলা তো হবেই। ফুটবলের মাঠে খেলা হচ্ছে। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের সামনেই খেলা। পর্তুগালের সঙ্গে মরক্কোর খেলা সামনে। ব্রাজিলের খেলা আছে। ফুটবলের মাঠে খেলা হচ্ছে, রাজনীতির মাঠেও খেলা্ হবে। নির্বাচনে খেলা হবে। সেজন্য কক্সবাজার প্রস্তুত আছে? আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে চিল্লায়। এতে কোনও লাভ হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরি গ্যায়ে গোই, ইবারে আর জ্যাতা করার দরকার কী? কক্সবাজারের মানুষ ভুল করবেন না। বিএনপিকে বিশ্বাস করবেন না। হাওয়া ভবনের যুবরাজ, অর্থ পাচারে সাত বছরে দণ্ডিত তারেক রহমানকে বিশ্বাস করবেন না। বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে ‌‌‘‘কুকুর থেকে সাবধান’’। আমরা বলি, বাংলাদেশের মানুষ বলে, বিএনপি থেকে সাবধান, তারেক রহমান থেকে সাবধান।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম মাঠে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। তারপর একে একে উপস্থিত হন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে সুইচ টিপে কক্সবাজারের ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২৯টি প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা চারটি প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫৭২ কোটি টাকা।

 news24bd.tv/আলী