৭ বছর আগের স্মৃতি ফেরালেন মিরাজ-মুস্তাফিজরা

সংগৃহীত ছবি

৭ বছর আগের স্মৃতি ফেরালেন মিরাজ-মুস্তাফিজরা

অনলাইন ডেস্ক

সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসে ভাগ্যবদলে ব্যর্থ ভারত। এই সফরের আগে ২০১৫ সালে সবশেষ বাংলাদেশে এসেছিল ভারত। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ হারে বাংলাদেশের কাছে। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে টাইগাররা সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে।

স্বাগতিকরা হেরেছিল সিরিজের শেষ ম্যাচটি। এর আগে টানা দুই জয়ে সিরিজ করে নিয়েছিল নিজেদের।

সেই ঘটনা ঘটল আবার।  এবার লিটনের দল একই কায়দায় ঘরের মাঠে সিরিজ হারালো ভারতকে।

পরপর দুই ওয়ানডে জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল টাইগাররা।

অথচ এই সিরিজে লিটন দাসের নেতৃত্ব পাওয়া ভাগ্যক্রমেই। সিরিজ শুরুর আগে ওয়ানডে দলের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল চোটে পড়েন। তার জায়গায় নেতৃত্ব দেওয়া হয় লিটনকে। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে সিরিজ জয়ের স্বপ্নের কথা শুনিয়েছিলেন লিটন। তবে ভারতের বিপক্ষে তা অর্জন করা যে মোটেও সহজ হবে না সেটাও স্বীকার করেন নেন তিনি। সহজ হয়ওনি। দুই ম্যাচেই রুদ্ধশ্বাস লড়াই হয়েছে। তবে স্নায়ুর লড়াইয়ে জিতেছে বাংলাদেশই।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। স্বাগতিকরা নবম উইকেট যখন হারায়, তখনও জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৫১ রান। সেখান থেকে দলকে অবিস্মরণীয় এক জয় উপহার দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৮ রানের বীরোচিত ইনিংসকে স্বাগতিকদের মুখে হাসি ফোটান তিনি।

আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়েও সবচেয়ে বেশি অবদান মিরাজের। বাংলাদেশ ৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে তিনিই ধরেছিলেন দলের হাল। মাহমুদউল্লাহ ৭৪ রান করে ফিরলেও, মিরাজ ছিলেন অবিচল। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেন তিনি। তুলে নেন সেঞ্চুরি। এরপর বল হাতেও মিরাজের চমক। প্রয়োজনের সময় জ্বলে ওঠেন তিনি। লোকেশ রাহুলকে ফেরানোর পর সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা শ্রেয়াস আইয়ারকেও ফেরান তিনি। তাতে বাংলাদেশও ফেরে ম্যাচে।

এরপর রোহিত শর্মা বাংলাদেশের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বটে। তবে তাকে অসাধ্য সাধন করতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। কাকতালীয় ব্যাপার এই যে, এই মুস্তাফিজের কারণে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এসে সিরিজ হারের হতাশায় ডুবেছিল ভারত।

news24bd.tv/সাব্বির