ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারেক রহমানকে ধরে আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারেক রহমানকে ধরে আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী 

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতি করবে না মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে গেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। খালেদাও তৈরি হয়েছিল যাওয়ার জন্য। আমি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করব। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা বাস্তবায়ন করা হবে।

’ 

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন বলেন, ‘আমেরিকা একটা খুনি পালছে, কানাডা পালে আরেকটা; পাকিস্তানে আছে দুইটা। সবার কাছে বলব, এই খুনিদের ফেরত পাঠাতে হবে। আর ব্রিটিশ সরকারকে বলব, তারেক জিয়াকে দেশে ফেরত পাঠাতে।

কারণ সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারা (বহির্বিশ্ব) মানবতার কথা বলে, দুর্নীতির কথা বলে, আবার সেই খুনি-দুর্নীতিবাজকে তাদের দেশে আশ্রয় দেয়। কাজেই তাকে বাংলাদেশের কাছে হ্যান্ডওভার করতে হবে। এ দেশে নিয়ে এসে সাজা আমি বাস্তবায়ন করব। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে সব দেশ আমাদের দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের দেশের অবস্থা তো আমরা জানি। প্রতিদিন মানুষ খুন হয়, ভোটের সময় ভোট চুরি হয়েছে বলে তাদের ক্যাপিটাল হোমেও আক্রমণ হয়। পাঁচ-ছয় জন গুলি করে মারে। আর তাদের কাছ থেকে আমার গণতন্ত্রের ছবক নিতে হবে। ’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির অপকর্ম তুলে ধরতে হবে। আমাদের যেসব নেতাকর্মী বিএনপির হাতে মার খেয়েছে, তাদের তো বসে থাকলে চলবে না। মানুষকে জানাতে হবে ওরা কী করতে পারে, কী করে। বসে বসে আর মার খাওয়া যাবে না। ’

অগ্নি সন্ত্রাসীদের, স্বাধীনতা বিরোধীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা আমাদের উৎখাত করবে? ওরা পকেট থেকে এসেছে আবার পকেটেই থাকবে। গণতন্ত্রের কথা ওদের মুখে মানায় না। এবার যেন আর কোনো বিআরটিসির বাস পোড়াতে না পারে। যেটা পোড়াতে যাবে, এখন তো সবার হাতে ক্যামেরা, ভিডিওি ফুটেজ দেখে যেই হাতে আগুন দেবে, সেই হাত সঙ্গে সঙ্গে পুড়িয়ে দিতে হবে। কোনোদিন বলিনি, এখন বলব; আর মার খাওয়ার সময় নেই। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হলো আমি তখনই দেশে চলে আসি। ওর বাপও তো আমাকে ঠেকাতে পারেনি। তারেক জিয়ার বাপও আমাকে ঠেকাতে পারেনি। আবার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তখনও পারেনি। এতই নেতৃত্ব দেওয়ার শখ, দেশেরে বাইরে পালিয়ে থেকে কেন? ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, সেই সুযোগে ডিজিটালি কথা বলে। ’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি, আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতের সংগঠন। আর বিএনপির জন্ম কোথায়? জিয়াউর রহমানের কুর্দি পরা পকেটে। পকেট থেকে কাগজ বের হয়েছে এমন সংগঠন। আওয়ামী লীগ কারও পকেটের সংগঠন নয়। এটা তাদের মাথায় রাখা উচিৎ। পকেটের সংগঠন, সেই কারণে তাদের মাটিতে কোনো শিকড় নেই। ’

news24bd.tv/ইস্রাফিল