তেল উৎপাদন কমানো নিয়ে সৌদি আরবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বৈরিতার মধ্যেই বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে সৌদি আরব সফরে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে শুধু বাণিজ্য নয়, ভূরাজনৈতিক নানা সমীকরণেও চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মানে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত বুধবার শুরু হওয়া জিনপিংয়ের এই সফর ঘিরে রাজধানী রিয়াদ সেজেছে চীনা ও সৌদির পতাকায়।
চীনের প্রেসিডেন্টের আগমনে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা বিষয় জড়িয়ে আছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন সৌদি আরবের তেলের শীর্ষ গ্রাহক। জিনপিংয়ের এই সফরে আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকছে তেলের বাজার।সৌদি আরবের সংসদ সদস্য আলি এল এনিজি বলেন, ‘চীন ও আরব দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে তেলের বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা চলছে। তার মধ্যে পশ্চিমারা সম্প্রতি রাশিয়ার তেল ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ ৬০ ডলার নির্ধারণ করায় বাজারে আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সৌদি-চীন অর্থনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনেও বেশ মনোযোগী।
মিশরীয় উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীন সবসময় আরব বিশ্বসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটি শক্তিশালী সমর্থক। কিন্তু চীন কখনো অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না। তাই আরব বিশ্ব সবসময় চীনের সঙ্গে আছে।
গত জুলাইয়ে সৌদি সফর এসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেল উৎপাদন বাড়াতে বললেও সাড়া দেয়নি শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জোট ওপেক প্লাস। এরপর থেকেই রিয়াদ-ওয়াশিংটনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। তবে শি জিনপিং এর সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। জানায়, চীন সৌদি আরবসহ এবং অন্যান্য দেশে যেভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, তার ওপর নজর রাখছে বাইডেন প্রশাসন।
news24bd.tv/ইস্রাফিল