সিলেট মহানগরের জালালবাদ থানাধীন শিবেরবাজার এলাকায় অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধানখেতে দুই কিশোরী বাউল শিল্পীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক শিল্পীর মা।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সিলেট নগরীতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী নারীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাউল শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেটের সভাপতি শাহ তোফাজ্জল ভান্ডারি।
এর আগে গত ২ নভেম্বর রাত ১০টায় ওই এলাকার বাছনা বিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।সংবাদ সম্মেলন করে এক ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করে বলেন, গত ২ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জের পুটামারা গ্রামের ভানুদাসের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার ইছাকলস গ্রামের মৃত শুকুর উদ্দিনের ছেলে মো. ফয়জুল হকের সঙ্গে বাউল শিল্পী পাঠানোর মৌখিক চুক্তি হয়।
একসময় তারা শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠানের দিকে না নিয়ে জালালাবাদ থানার শিবেরবাজার এলাকার বাছনা বিলের দিকে জোরপূর্বক নিয়ে যেতে থাকেন। পরে অটোরিকশার যাত্রীরা নেমে অস্ত্রের মুখে শিল্পীদের টেনে-হিঁচড়ে বাছনা বিলের ধানখেতে নিয়ে যান। সেখানে দুই কিশোরী শিল্পীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে ফয়জুল ও তার সহযোগীরা।
এ সময় এক নারী শিল্পীর স্বামী কৌশলে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে জালালাবাদ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ততক্ষণে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে তোফাজ্জল ভান্ডারি জানান, ‘এ ঘটনায় গত ৩ নভেম্বর জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মাত্র দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফয়জুলকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ আরও তথ্য জানতে পারলেও অন্য আসামিদের ধরতে গড়িমসি করছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিল্পীরা জেলা প্রশাসক ও সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন’।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানান, এ ঘটনার দিনই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কোনো অভিযুক্তকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
news24bd.tv/কামরুল