প্রতিকূল পথ পাড়ি দিয়েও ছাপা হচ্ছে ৩৫ কোটি বই

বই তৈরিতে কাজ করছেন শ্রমিকেরা

প্রতিকূল পথ পাড়ি দিয়েও ছাপা হচ্ছে ৩৫ কোটি বই

অনলাইন ডেস্ক

মাসখানেক পরই নতুন বছর শুরু। বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে উঠবে নতুন বই। হবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব। এ কারণে মুদ্রণপাড়া এখন ব্যাপক সরগরম।

ব্যস্ততার সীমা নেই শ্রমিকদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিকূল পথ পাড়ি দিয়েও ছাপা হচ্ছে ৩৫ কোটি বই।

তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার বেশ কিছু কারণে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে পাঠ্যবই ছাপার কাজ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এবং ডলারের উচ্চমূল্যের জন্য কাগজ তৈরির প্রধান উপকরণ পাল্প আমদানি করা যাচ্ছে না।

আবার দেশের অর্ধেক কাগজকল এখন উৎপাদনে নেই। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ে মেশিন চলা অবস্থায়ই থমকে যাচ্ছে ছাপার কাজ। নষ্ট হচ্ছে অনেক কাগজ। সেই কাগজ এখন চড়া মূল্যের কারণে দুষ্প্রাপ্য। এসব প্রতিকূলতা জয় করে আসছে বছরের শুরুতেই কোমলমতি শিশুদের হাতে বই তুলে দেওয়ার কাজ চলছে পুরোদমে।

কদিন বাদেই বই উৎসবে মাতবে গোটা দেশ; চলছে তারই প্রস্তুতি। শ্রমিকদের কারো চোখেই  নেই ঘুম। কেউ ব্যস্ত ছাপার কাজে। কারো ব্যস্ততা বাঁধাইয়ে। বিরামহীন কাজের এই চিত্র রাজধানীর ডেমরা থানার মাতুয়াইল এলাকার মুদ্রণ পাড়ার। এই এলাকায় গড়ে উঠেছে ৫০ থেকে ৬০টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। যেখানে ধুম পড়েছে কাজের।

শ্রমিকরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও কাগজের যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে এতে করে জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতের বই তুলে দেওয়া কষ্টকর। পরিস্থিতি অনেক খারাপ। বিদ্যুৎ থাকছে না। তবে বইয়ের কাজ শেষ করতে দিত রাত কাজ করার কথা জানিয়েছেন তারা।

জনতা প্রেসের মালিক তাসনীফ ইসলাম আকাশ বলেন, ‘আমরা আশা করছি জানুয়ারির ১ তারিখে ভেতরে কাজ শেষ হবে। ’

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘এবার কিছুটা সংকট আছে, তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ’

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩৪ কোটি ৮৫ লাখ কপি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সাড়ে ৯ কোটি বই আছে।

news24bd.tv/মামুন

এই রকম আরও টপিক