যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞায় নেই বাংলাদেশি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান

সংগৃহীত ছবি

এগারো দেশের ৩০ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞায় নেই বাংলাদেশি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক

দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে বিশ্বের ১১ দেশের ৩০ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সরকারের নতুন এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম আসেনি বাংলাদেশের কোনও ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের।  

মূলত নির্যাতন, যৌন সহিংসতা ও রাজপথের বিক্ষোভে সহিংস দমনপীড়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এমন ব্যক্তিকে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া ও ইরানের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

 

নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার বলছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞাগুলো সমন্বিত করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে, যারা বন্দি নির্যাতন ও বেসামরিক নাগরিকদের ধর্ষণের জন্য সেনা মোতায়েনের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসে এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।  

এদিন এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যারা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর জঘন্য লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত, আমাদের এ নিষেধাজ্ঞা তাদের মুখোশ উন্মোচন করবে।

বিশ্বের মোট ১১টি দেশের নাগরিককে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে তালিকায় রয়েছে নিকারাগুয়া, পাকিস্তান ও উগান্ডার নাগরিকও। যৌন সহিংসতায় জড়িত থাকায় দক্ষিণ সুদানের স্থানীয় কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া কাতিবা ম্যাকিনা গ্রুপ নামে মালির একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ও মিয়ানমারের তিন সামরিক প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে। রাশিয়ার যেসব ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন রামিল রাখমাতুলোভিচ ইবাতুলিন নামে রুশ সেনাবাহিনীর এক কর্নেল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়ার ৯০তম ট্যাংক ডিভিশনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ইরানের কারা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত এমন ১০ কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয় জন ইরানি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। যারা বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেয়ার জন্য দায়ী।   

news24bd.tv/আলী