বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সরকার এক লাখ টন কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এজন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। ’
রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিমিয় শেষ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
দিনাজপুরের কয়লা খনি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খনিতে যেকোনও সমস্যা হতে পারে। আপদকালীন মজুত হিসেবে এই কয়লা আনা হচ্ছে।
’তিনি বলেন, ‘এখনও ঠিক হয়নি কোন দেশ থেকে কয়লা আনা হচ্ছে। টেন্ডার দিয়েছি। পরে জানা যাবে।
বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
বিদ্যুতের দাম কামানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বার্ক)-এর ওপর নির্ভর করে। আমরা আমাদের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। জনগণের ওপর যেন কোনও চাপ না পড়ে সেদিকে নজর রেখেই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব। কাজেই জনগণের চাপ হয় এমন সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। ’
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা চুরি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে যে কয়লা চুরি হয়েছে তা ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এটি দুই দিনে ঘটেনি। যে পরিমাণ কয়লা চুরি হয়েছে তা বহন করে নিতেও ৩০ হাজার ট্রাক লেগেছে। ভাগ্য ভালো যে শেখ হাসিনা সরকারের সময় এটি ধরা পড়েছে। শেখ হাসিনা সরকার যে কোনও দুর্নীতি বরদাশত করে না তার প্রমাণ এটি। ’
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)