দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয়, এ তো সব ফুটবলারের আজন্ম লালিত স্বপ্ন। আর নামটা যদি হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, তবে তো কোনো কথাই নেই। সোনালি ট্রফি জেতার নেশায় পাঁচটি ভিন্ন মঞ্চে লড়াই করেছেন তিনি। তবে প্রতিবারই হয়েছেন ব্যর্থ।
কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে গতকাল মরক্কোর কাছে ১-০ গোলে হারের পর রোনালদো আর মাঠে থাকেননি। সরাসরি কাঁদতে কাঁদতে চলে যান টানেলের ভেতর।
রোনালদো সামনের ফেব্রুয়ারিতে পা দেবেন ৩৮-এ। ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলাটা রীতিমতো দুঃস্বপ্নই। বাস্তবতা বুঝেই কিনা আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তার স্বপ্নের ইতি ঘটে গেছে। রোনালদো লিখেছেন, ‘পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন। সৌভাগ্য আমার, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমি অনেক শিরোপা জিতেছি, পর্তুগালের হয়েও। কিন্তু আমাদের দেশের নাম বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। ’
‘আমি সেই স্বপ্নের জন্য লড়াই করেছি। এই স্বপ্নের জন্য আমি কঠোর সংগ্রাম করেছি। গ্রেট খেলোয়াড়দের পাশে থেকে এবং লাখো পর্তুগিজ সমর্থকের সমর্থনে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে আমি পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করেছি, নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি। আমি আমার সবটুকু দিয়েছি। আমি কখনই লড়াইয়ের দিকে মুখ ফেরাইনি এবং আমি কখনই সেই স্বপ্ন ছেড়ে দেইনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, গতকাল (শনিবার) সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। ’
আপ্লুত রোনালদো আরও লেখেন, ‘আমি শুধু আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই, অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক কিছু লেখা হয়েছে, অনেক অনুমান করা হয়েছে। কিন্তু পর্তুগালের প্রতি আমার আত্মত্যাগ এক মুহূর্তের জন্যও বদলায়নি। আমি সব সময় সবার জন্য একই উদ্দেশে লড়াই করেছি এবং আমি কখনই আমার সতীর্থ এবং আমার দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেইনি।
এরপরই রোনালদো ইঙ্গিত দেন পর্তুগাল জাতীয় দল থেকে নিজের বিদায়ের। পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার লেখেন, ‘এই মুহূর্তে, আর বেশি বলার কিছু নেই। ধন্যবাদ পর্তুগাল। ধন্যবাদ কাতার। স্বপ্নটা খুব সুন্দর ছিল, যতক্ষণ বেঁচে ছিল। এখন সময় এসেছে একজন ভালো উপদেষ্টা হওয়ার এবং প্রত্যেককে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার। ’
news24bd.tv/সাব্বির