বড়াইগ্রামে তিন বিদ্রোহী প্রার্থীকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার

বড়াইগ্রামে তিন বিদ্রোহী প্রার্থীকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার

নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি ও মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে অনুগত না হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৩ আওয়ামী লীগ নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী সোমবার বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সদস্যদের এ তথ্য দেন।

বহিষ্কারাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, জোয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মাঝগাঁও ইউনিয়নের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা এবং সমাজ সেবক এম.এ খালেক পাটোয়ারী। তারা তিনজন যথাক্রমে সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, মাঝগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও মাঝগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ওই দুই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। একই দিন অনুষ্ঠিত হবে উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলো আ.লীগের নেতৃবৃন্দ। বিচার বিশ্লেষণ শেষে দলীয় মনোনয়ন পান জোয়াড়ি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি চাঁদ মাহমুদ এবং মাঝগাঁও ইউনিয়নে উপজেলা আ.লীগের প্রস্তাবিত ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল আজাদ (দুলাল)।

এছাড়া বনপাড়া পৌরসভায় আ.লীগের মনোনয়ন পান বর্তমান মেয়র ও পৌর আ.লীগের সভাপতি কেএম জাকির হোসেন।

দুই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, জোয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪০ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, বনপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী ও পৌর আ.লীগের সভাপতি কেএম জাকির হোসেন একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এই পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩১ জন এবং সংরক্ষিত নারী আসনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সংরক্ষিত পদে বর্তমান কাউন্সিলর শরীফুন্নেছা শিরিণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।