গণহত্যার সাক্ষী রাবির বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ

সংগৃহীত ছবি

গণহত্যার সাক্ষী রাবির বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসের স্থান-কাল বিচারে মাত্র নয় মাসে ৫৬ হাজার বর্গমাইলে সংঘটিত গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ স্মরণকালের ইতিহাসে তুলনাহীন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা ৩০ লক্ষ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে মরদেহ বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখেছিল। সেসব স্থান চিহ্নিত হয়ে আছে ‘বদ্ধভূমি’ নামে। সারাদেশের অন্যান্য বদ্ধভূমির মত গণহত্যার সাক্ষী হয়ে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বদ্ধভূমি যার নাম বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ।

 

দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নিরপরাধ মানুষকে এখানে ধরে নিয়ে এসে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয় এই স্মৃতিস্তম্ভ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের পেছনে দীর্ঘ এক বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই বধ্যভূমি ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশের স্মৃতিকে ধারণ করে আছে।

স্তম্ভের ভাঙা এই ইট দ্বারা বুঝানো হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ের ক্ষত।

খোলা আকাশের নিচে নির্ভীক প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে স্তম্ভটি। কয়েক ধাপ সিঁড়ি পাড়ি দিয়ে মূল বেদি। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই দুধারে নানা রকম ফুল ও পাতাবাহার গাছের সমাহার। তার ভেতরে একটি বড় কূপকে ঘিরে বানানো হয়েছে কংক্রিটের একটি গোলাকার বেদি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, এখানে আসলে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা ভেসে ওঠে চোখের সামনে। শিক্ষকরা জানান, মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে দেয় এই বদ্ধভূমি।  

২০০৪ সালের ২১ শে ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ।

news24bd.tv/আজিজ