মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকায় জমির সীমানা কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত রবিউল ফকির (৩৭) মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনোহাটা গ্রামের হাবিব ফকিরের ছেলে, আবদুল লতিফ ফকিরের ছেলে হোসেন ফকির (৩৫), শাজাহান শিকদারের ছেলে সাইফুল শিকদার (৩৮), করিম শিকদারের ছেলে বাদলসহ (৪০) অনেকে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে জমির সীমানা বেশি কাটা নিয়ে সাইফুল শিকদার ও রবিউল ফকিরের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা সালিশে মিমাংসা করে দিলে পরের দিন সকালে জমিতে কাজ করতে যায় রবিউল ফকির।
দু'পক্ষের লোকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মারামারি জন্য পুনরায় জড়ো হয়। পরে পুলিশ এসে উভয়পক্ষের সাত জনকে আটক করে।
স্থানীয় আইনল মাতুব্বর বলেন, গতকালকে তাদের জমির সীমানা কাটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তারপরেও স্থানীয়রা সালিশ করে দিলে আবার তারা দু'পক্ষের লোকজন সকালে এই জমি নিয়ে মারামারি করে অনেকে আহত হয়েছে।
রবিউল ফকির বলেন, 'এই জমির কাগজপত্র সব আমাদের নামে। এই জমির সীমানা আমাদের মধ্যে। তাই আমরা সীমানা কাটতে যাই। তারা ক্ষমতাশালী হওয়ায় জমির সীমানা কাটতে গেলে তারা জোর করে আমাদের এই সীমানা কাটা বন্ধ করতে আসে। আমরা সরকারের কাছে কঠোর বিচার চাই'।
বাদল শিকদার বলেন, 'আমাদের জমির সীমানরা ফকিররা বেশি কাটতেছিল দেখে বাধা দিলে তারা আমাদেরকে কুপিয়ে জখম করে'।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিন আরিফিন বলেন, সকালে মারমারির ঘটনায় চারজন চিকিৎসা নিতে আসে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সকালে জমির সীমানা কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনা স্থানে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পুলিশ উভয়পক্ষের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
news24bd.tv/রিমু