জাতিসংঘে স্থান পাচ্ছেন না মিয়ানমারের জান্তারা

সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘে স্থান পাচ্ছেন না মিয়ানমারের জান্তারা

অনলাইন ডেস্ক

জাতিসংঘে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে নতুন দূত পাঠানোর জন্য আবেদন করেছিল মিয়ানামারের জান্তা সরকার। তবে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসা এই সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘের একটি কমিটি। এতে করে জাতিসংঘে নির্ধারিত আসনে বসতে পারবে না জান্তা দূতরা। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি আবারও মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে বৈশ্বিক সংগঠনটিতে নিজেদের দেশের আসন নিতে বাধা দিয়েছে। বুধবার জাতিসংঘের দুজন কূটনীতিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাধারণত সদস্য হওয়া প্রতিটি দেশের দূত থাকে জাতিসংঘে। তারাই নিজের দেশকে বৈশ্বিক সংগঠনটিতে প্রতিনিধিত্ব করেন।

সময়ের পালাক্রমে পরিবর্ত ন করা হয় দূতকে।  তবে ২০২১ সালে ক্ষমতায় বসার পর থেকে নতুন করে কোনো দূত পাঠাতে পারেনি জান্তা সরকার।

দূত নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি ফের জাতিসংঘে আবেদন করে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। এর জেরে গত সোমবার সাধারণ পরিষদের ক্রেদেন্টিয়ালস কমিটি বৈঠকে বসে। তবে বৈঠকে জান্তা সরকারের দূতদের আসন না দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন কমিটির সদস্যরা।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে বৈঠকে থাকা এক কূটনীতিক এএফপিকে বলেন, ‘তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এই সপ্তাহের শেষে এটি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। ’

ক্রেদেন্টিয়ালস কমিটির এই প্রস্তাবনার ফলে জাতিসংঘে মিয়ানমারের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কিউ মো তুন। এই দূতকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সময়কালে। তবে বিরোধীতা করায় ইতোমধ্যে তুনকে বহিষ্কার করেছে জান্তা সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরেও বিরোধী তুনকে সরিয়ে দিয়ে নতুন দূত নিয়োগে জাতিসংঘে আবেদন করে জান্তা সরকার। তবে ওই সময়ও তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।

লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা মিয়ানমার অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস গুনেস জাতিসংঘের এই কমিটির পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কমিটির এই পদক্ষেপ কূটনৈতিক এবং প্রতীকী তাৎপর্য বহন করে। জাতিসংঘ এমন সময়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে যখন কি না অবৈধ জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। ’

এক বিবৃতিতে গুনেস বলেন, ‘জেনারেল মিন অং হ্লাইং মিয়ানমারের জনগণের ওপর এমন মাত্রায় সহিংসতা চালাচ্ছেন যেটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেখা যায় না। এই অঞ্চলে সর্বশেষ এমনটা দেখা গিয়েছিল কম্বোডিয়ার স্বৈরশাসক পল পটের সময়। ’

news24bd.tv/মামুন

এই রকম আরও টপিক