ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকে ইউক্রেনের বিষয়ে স্বল্প ও মাঝারি মেয়াদের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। শনিবার এমন খবর জানায় রাশিয়ান টুডে।
রাশিয়ান টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার পুতিন রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে জড়িত সামরিক শাখাগুলোর যৌথ সদর দফতরে কাজ করেন।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু, জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ, যিনি জেনারেল স্টাফের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন উপস্থিত ছিলেন।
টেলিগ্রামে ক্রেমলিনের পোস্ট করা ভিডিওতে পুতিন উদ্বোধনী বক্তব্য বলেন, আমরা প্রতিটি অপারেশনাল এলাকার কমান্ডারদের কথা শুনব, এবং আমি আমাদের তাৎক্ষণিক এবং মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপের বিষয়ে আপনাদের প্রস্তাবগুলোও শুনতে চাই।
পুতিন এই বৈঠকের আগে গত সপ্তাহে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া হতে পারে। পুতিন উল্লেখ করেন, ইউক্রেনে রাশিয়া বেশ কয়েকটি বড় অর্জন করেছে। দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের মানুষ যারা খেরসন এবং জাপোরোজিয়ে অঞ্চলের সাথে এই শরৎতে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ায় যোগদানের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সেই গণভোটকে ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলো অবৈধ বলে নিন্দা করেছে।
পুতিন ব্যাখ্যা করতে গিয়েছিলেন যে ইউক্রেনের সংঘাত সত্যিই ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল, যখন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে একটি জাতীয়তাবাদী অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছিল, ইউক্রেনের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। পরে, ফ্রান্স এবং জার্মানি কিয়েভ এবং মিনস্কে ডনবাস প্রজাতন্ত্রের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় সহায়তা করেছিল, কিন্তু সেটি তারা বহাল রাখতে ব্যর্থ হয়।
সেই পটভূমিতে পুতিন দাবি করেন যে, ইউক্রেন থেকে ডনবাস প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করতে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সামরিক হস্তক্ষেপ করা ছাড়া মস্কোর কাছে খুব কম বিকল্প ছিলো।
news24bd.tv/আলী