ইউরেনিয়াম ইস্যুতে ইরান সফরে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা

সংগৃহীত ছবি

ইউরেনিয়াম ইস্যুতে ইরান সফরে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক

তেহরান সম্প্রতি ঘোষণা করেছে তারা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইরানের সাথে চলমান পরমাণু দ্বন্দ্বের সমাধান করতে তেহরানে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা -আইএইএ।

স্থানীয় সময় শনিবার রাশিয়া টুডের খবরে বলা হয়, ইসলামিক এ দেশটি শিগগিরিই বিশাল পরিমাণে পরমাণু অস্ত্র তৈরির দিকে আগাতে পারে। ফলে অতি দ্রুতই তেহরান পর্যবেক্ষণে যেতে চায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলটি।

গত বৃহস্পতিবার ইরানের রাজধানী তেহরান সফরের ঘোষণা দেয়া আইএইএ। সংস্থাটি জানায়, সফরটি আগামী ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে। সফরের উদ্দেশ্য, ইরানের সাথে পরমাণু বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সাথে চলমান দ্বন্দ্বের অবসান ও সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান করা।

এর আগে ১০১৯ সালে ইরানে তিনটি স্থানে বিশাল পরিমাণ ইউরেনিয়াম কণার সন্ধানের বিষয়ে প্রতিবেদন দেয় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি।

ওই বছরের নভেম্বরে আইএইএ'র গভর্নর্স বোর্ড ডিরেক্টররা তেহরানকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আদেশ চেয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোট প্রদান করে। সে বছর জুনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করতে তেহরানকে আদেশ দেয় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়।

তবে সে সময়ে এ প্রস্তাবের নিন্দা জানায় তেহরান। এক বিবৃতিতে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটা একটি দুর্বল প্রস্তাব যা আইএইএ'র সাথে ভবিষ্যতে ইরানের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইরানের সক্ষমতার বিষয়ে আইএইএ যথেষ্ট গবেষণা করেনি বলেও অভিযোগ করে দেশটি।

২০১৫ সালে ইরান এবং বিশ্ব শক্তির মধ্যে একটি বড় পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (JCPOA) নামে পরিচিত। তবে আইএইএ পরিদর্শকরা জানিয়েছেন, তারা বিগত কয়েক মাসে ইরানে বেশ কিছু ইউরেনিয়ামের ক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছেন।

তবে সে চুক্তি থেকে সরে এসে ইরান সম্প্রতি ঘোষণা করেছে দেশটি খুব শিগগিরই আগের চেয়ে ৬০শতাংশ বেশি ইউরেনিয়াম পরিশোধন করবে। যা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সেই চুক্তিরও ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।

আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের নিউক্লিয়ার এজেন্সির প্রধান গ্রোসি জানিয়েছেন, উচ্চ-বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম ইরানের সামরিক শক্তিতে অনন্য মাত্রা যোগ করবে যা এখনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আনা উচিত। আমাদের এখনই সেখানে যাওয়া প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের এমন পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে করা ইরানের চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। যেটা দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক