চীনের ৬০ ভাগ মানুষ আবারো করোনায় আক্রান্ত হতে পারে: বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

প্রতীকী ছবি

চীনের ৬০ ভাগ মানুষ আবারো করোনায় আক্রান্ত হতে পারে: বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

চীনে হঠাৎ হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যে দেশটির হাসপাতালগুলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে করোনামহামারির বিধিনিষেধ হঠাৎ শিথিল করার কারণেই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিং শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী তিন মাসে দেশটির ৬০ ভাগ মানুষ মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।

একই সঙ্গে লক্ষাধিক রোগী মারাও যেতে পারেন।

এনডিটিভি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে জানায়, সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে মহামারি করোনাভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু বাড়ছে। ফলে বেইজিংয়ের সমাধিস্থলগুলোতে করোনায় মারা যাওয়া রোগীর মরদেহ ব্যাপকহারে আসতে শুরু করেছে।

এই প্রতিবেদনে এর কারণ হিসেবে করোনামহামারির বিধিনিষেধ হঠাৎ শিথিল হওয়াকে বলা হচ্ছে।

চীনের রাজধানীর পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বেইজিং ডংজিয়াও সমাধিস্থলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, সম্প্রতি করোনভাইরাসে মৃত রোগীর দাহ ও অন্যান্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরিমাণ বেড়েছে।

সমাধিস্থলে কর্মরত আরেক নারী বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হার বেড়েছে। এর ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মরদেহগুলোর সৎকারের কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিদিন এতো মৃতদেহ আসছে যে, ভোরে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত সৎকার করতে হচ্ছে।

এদিকে হঠাৎ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চীন সরকারের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন মহামারি বিশেষজ্ঞ ফেইগল-ডিং। তিনি অভিযোগ করে বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) এ বিষয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। তাদের কথা হলো, সংক্রমিত হয় হোক, মানুষ মারা যায় যাক, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না!

এ দিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনের সঙ্গে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্যের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। দেশটির স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) করোনায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন মারা গিয়েছিল দুজন।

এই নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ২৪২ জন। এছাড়া সোমবার দেশটিতে উপসর্গসহ ২ হাজার ৭২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আগের দিন ছিল ১ হাজার ৯৯৫ জন।

news24bd.tv/হারুন