ক্যান্সারের খোঁজ মিলবে ১৩ বছর আগেই!

ক্যান্সারের খোঁজ মিলবে ১৩ বছর আগেই!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আবিষ্কার হচ্ছে নতুন নতুন পদ্ধতি। সেই সাথে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে নতুন নতুন রোগ। তবে বিজ্ঞানীরা বসে নেই। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

 

যে কোনো সময় মরণব্যাধি ক্যান্সার থাবা বসাতেই পারে আপনার শরীরে। দুর্যোগ যেমন বলে-কয়ে আসে না, তেমনি ক্যান্সারও তাই।  

কিন্তু বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ১৩ বছর আগেই তা বিশেষ একটি পরীক্ষায় বলে দেয়া সম্ভব। আর এতে সাফল্যের হার ১০০%।

 

বিষয়টি আপনার কাছে অবাক লাগলেও বিজ্ঞানীদের দাবি এমনটিই। একবার পরীক্ষা করে নিলেই সামনের ১৩ বছর আপনার জন্য কী অপেক্ষা করছে তা জেনে যাবেন।

হার্ভার্ড ও নর্থওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই দাবি করেছেন। সম্প্রতি তাদের গবেষণাপত্রটি অনলাইন জার্নাল ইবায়োমেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।

তারা লক্ষ্য করেন, প্রতিটি ক্রোমোজমের শেষপ্রান্তে টুপির মতো একটি অংশ রয়েছে। সেটি ডিএনএকে সুরক্ষিত রাখে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধার অনেক আগে থেকেই ক্রোমোজমের সেই টুপি ক্রমশ জরাজীর্ণ চেহারা ধারণ করে। বিশেষ এই টুপিটিকে গবেষকরা বলছেন টেলোমিয়ার্স।

ক্যান্সার হওয়ার আগে থেকেই টেলোমিয়ার্স স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা ক্ষুদ্র, তার থেকেও ক্ষুদ্রতর হতে থাকে। আক্রান্ত হওয়ার ৪ বছর আগে সেটি আর সংকুচিত হয় না।

বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে গবেষকরা জিনের এই পরিবর্তনে মিল খুঁজে পেয়েছেন।  

গবেষকরা বলছেন, বিজ্ঞানের দুনিয়ায় এই আবিষ্কার হয়তো খুব বড় কিছু নয়। কিন্তু ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য এই আবিষ্কার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগী যখন হাসপাতালে আসেন, তখন সারা শরীরে ক্যান্সার ডালপালা বিস্তার করে ফেলেছে। তখন হাজারো চিকিৎসা, কেমোথেরাপি দিয়েও রোগীকে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয় না।  

হার্ভার্ড ও নর্থওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই আবিষ্কার তাই নিশ্চিতভাবেই মানুষকে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে আগে বিরত রাখতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।  


অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর