ইসলামের দৃষ্টিতে বিভিন্ন কারণে মানুষের অন্তর অপবিত্র হয়, নিম্নে সেসব কারণ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১. শিরক করা: মহান আল্লাহর উলুহিয়্যাত, রুবুবিয়্যাত ও নাম-গুণাবলির সঙ্গে শিরক করার দ্বারা অন্তর অপবিত্র হয়।
২. সন্দেহ পোষণ: আল্লাহর অস্তিত্ব, পরকাল ও ধর্মীয় বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করলে বা অবিশ্বাস করলে অন্তর অপবিত্র হয়। যেমন কাফিররা পরকালে বিশ্বাস করে না। আবার কারো কারো মনে পরকাল নিয়ে সন্দেহ-সংশয় আছে।
৩. মুনাফিকি চরিত্র: অন্তরের বিশ্বাসের সঙ্গে বাস্তব কাজের গরমিল থাকা অন্তরের অপবিত্রতার আলামত। অর্থাৎ বাইরে যা সে আমল করে প্রকৃতপক্ষে অন্তরে তা বিশ্বাস করে না।
৪. শিরকমিশ্রিত বিশ্বাস: এমন বিশ্বাস পোষণ ও আমল করলে অন্তর অপবিত্র হয়, যার সঙ্গে শিরকি চিন্তা ও ধ্যান-ধারণা মিশ্রিত আছে।
৫. রিয়া বা লোকদেখানো ইবাদত: মানুষকে দেখানো বা সমাজে সুনাম-সুখ্যাতি অর্জনের জন্য ভালো কাজ করা অন্তরের অপবিত্রতার আলামত।
৬. গোঁড়ামিবশত সত্য বর্জন করা: সত্যকে সত্য বলে জানা সত্ত্বেও গোঁড়ামিবশত তা গ্রহণ না করা অন্তরের অপবিত্রতার অন্যতম আলামত।
৭. হিংসা করা: অন্যের ভালো দেখতে না পারা, এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়া এবং তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা অন্তরের ব্যাধির পরিচায়ক।
৮. অহংকার করা: কথায় ও কাজে-কর্মে নিজেকে বড় ও অন্যকে ছোট মনে করা অনন্তরের অসুখের চিহ্ন।
৯. বিদআতি কাজ করা: ইসলাম ধর্মে নেই, এমন কাজ ইসলামের নামে করা বিদআত। এমন কাজের দ্বারা অন্তর অপবিত্র হয়। আর অন্তর অপবিত্র হলে অজু-গোসল করার মাধ্যমে তা পবিত্র হয় না। এ থেকে পবিত্র হতে হলে অবশ্যই তাওবা করতে হবে, এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশুদ্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে।