শুরুটা করেছিলেন তাইজুল, শেষটা রাঙালেন সাকিব। টাইগার স্পিনারদের দাপটের দিনে ৮৬.৩ ওভারে ৩১৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে ভারত। তবে এরই মধ্যে ৮৭ রানের লিড পেয়ে গেছে সফরকারীরা। চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যর্থতার পর সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছিল বাংলাদেশ।
তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বল হাতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ভারত লিড পেলেও প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রানের বেশি করতে পারেনি। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি ছিল রিশভ পন্তের।
ভারতের ১০ টি উইকেটের ৮টি সমানভাগে ভাগ করে নিয়েছেন সাকিব ও তাইজুল। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মিরাজ ও তাসকিন।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অধিনায়ক কেএল রাহুলকে এলবিডব্লিউ করে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাইজুল। ইনিংসের ১৪তম ওভারে এলবিডব্লিউর আবেদন করলে প্রথমে আম্পায়ার সাড়া দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে তাতে সফল হয় বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৬তম ওভারেই ভারতের আরেক ওপেনারকে একইভাবে আউট করেন তাইজুল।
এরপর কোহলি নেমে অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছিলেন পূজারাকে নিয়ে। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির কিছু আগে আবারও আঘাত হানেন তাইজুল। পূজারাকে আউট করে সেশনটা নিজেদের করে নেন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৪ রান করেছেন পূজারা।
কোহলির উইকেটটাও তুলে নেন পেসার তাসকিন। অফ স্টাম্পের বাইরে শট লেংথ বলে খোঁচা মেরেছিলেন কোহলি। সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে ভুল করলেন না উইকেটকিপার সোহান। সাজঘরে ফেরার আগে ৭৩ বলে তিন চারে কোহলি করেন ২৪ রান।
ওয়ানডে মেজাজে খেলছিলেন রিশভ পন্ত। ছিলেন শতরানের দ্বারপ্রান্তে। তবে নার্ভাস নাইনটিনে কাটা পড়লেন ভারতীয় এ উইকেটকিপার ব্যাটার। দ্বিতীয় সেশনে নাকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়া মিরাজ খেলতে নেমেই সাফল্যের দেখা পেলেন। মিরাজের প্রথম চার বলে কোনো রান পাননি পন্ত। পঞ্চম বল জায়গা করে নিয়ে অফে খেলতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ঠিকমতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে কিপার সোহানের গ্লাভসে। ভাঙে ১৮২ বল স্থায়ী ১৫৯ রানের জুটি।
১০৪ বলে পাঁচ ছক্কা ও সাত চারে ৯৩ রান করেন পন্ত। টেস্টে এ নিয়ে ষষ্ঠবার নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন তিনি। সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি। এর আগে ৯১ রানের মাথায় রানআউট হতে হতেও বেঁচে গিয়েছিলেন। মুমিনুল হকের থ্রো সরাসরি স্টাম্পে গেলে নিশ্চিতভাবেই আউট হতেন পন্ত।
এদিকে, পন্তের পর আউট হয়ে গেছেন অক্ষর প্যাটেলও। সাকিবের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন অক্ষর। এছাড়া সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে গেছেন সেঞ্চুরির পথে থাকা শ্রেয়াস আইয়ার। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ১০৫ বলে ৮৭ রান করেছিলেন এ ব্যাটার।
news24bd.tv/আলী