সেই বিশত কিনতে ১০ কোটি টাকার প্রস্তাব

সংগৃহীত ছবি

সেই বিশত কিনতে ১০ কোটি টাকার প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক

কাতারে অবশেষে শেষ হলো প্রতিক্ষার পালা, শেষ হলো দীর্ঘ অপেক্ষা, শেষ হলো দুঃখের সময়। দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার পালার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। ফাইনাল জয়ের পর মরুর বুকে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার আগে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক বিশত পরিয়ে দেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

১০ লাখ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ কোটি) আরবের ঐতিহ্যবাহী সে পোশাক কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন ওমানের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) ও আইনজীবী আল বারওয়ানি।

বিশ্বকাপজয়ী দলের প্রাণভোমরা মেসির সেই বিশত কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে টুইটে আল বারওয়ানি লেখেন, ‘ওমানের সালতানাতের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে (মেসি) কাতার বিশ্বকাপ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাকে আরব বিশত পরিয়ে কাতারের আমির তামিম আমাকে মুগ্ধ করেছেন। এই বিশত উদারতা ও প্রজ্ঞার প্রতীক। আমি বিশতের বিনিময়ে আপনাকে ১০ লাখ ডলার (১০ কোটি ২৮ লাখ টাকা) দিতে চাই।

রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের টাইব্রেকে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ১৯৮৬ সালের পর ফের বিশ্বকাপ জিতে লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা।

চ্যাম্পিয়ন দলটির অধিনায়ক মেসির হাতে বিশ্বসেরার ট্রফি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এর আগে মেসির গায়ে বিশত পরিয়ে দেন কাতারের আমির। বিশত পরেই বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরেন মেসি।

আর্জেন্টাইন ফুটবলের পোস্টার বয়কে আরবের পোশাক পরানো নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। কেউ কেউ বলেছিলেন, এটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, যা বিশ্বকাপের ট্রফি বিতরণের সঙ্গে বেমানান। কেউ কেউ আবার বিশত পরানোর তাৎপর্য জানতে চেয়েছেন।

আরব বিশ্বে পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক বিশত। বিশেষ আয়োজন ও বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানে এটি পরেন তারা। সেটি পরিয়ে দেয়ার মানে হলো কাউকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া। এটি মূলত ধর্মনিরপেক্ষ পোশাক।

বিশ্বকাপ ফাইনালে আয়োজক দেশের দেয়া স্মারক পরে উদযাপন নতুন কিছু নয়। ১৯৭০ সালের ফাইনালে ব্রাজিলের জয়ের পর মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী সমব্রেরো টুপি মাথায় নিয়ে উদযাপন করেছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে।
news24bd.tv/আলী