রংপুর সিটিতে ভোট কাল, নিরাপত্তা জোরদার
রংপুর সিটিতে ভোট কাল, নিরাপত্তা জোরদার

সংগৃহীত ছবি

রংপুর সিটিতে ভোট কাল, নিরাপত্তা জোরদার

অনলাইন ডেস্ক

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে।  প্রার্থীদের প্রকাশ্য প্রচার-প্রচারণা রোববার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। অপেক্ষা ভোট শুরুর। এই সিটির ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে।

নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আছে। ভোট উপলক্ষে নেওয়া হচ্ছে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় টহলে থাকবেন পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই নির্বাচনে ভোটের দিন সাংবাদিকদের জন্যও মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে এবং ভোটকক্ষে সিসিটিভি থাকবে। তবে গোপন কক্ষে থাকবে না। ৯০ শতাংশ কেন্দ্রে এরই মধ্যে সিসিটিভি স্থাপন সম্পন্ন হয়ে গেছে। আজকের মধ্যে সব কেন্দ্রে স্থাপন করা হবে। ঢাকায় নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে ভোট পর্যবেক্ষণ করা হবে। আজ সোমবার পুলিশি নিরাপত্তায় সব কেন্দ্রে পোলিং কার্ডসহ অন্য নির্বাচনী সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভোটের ফলাফল ট্যাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য সব কেন্দ্রে একটি করে ট্যাব সরবরাহ করা হচ্ছে। ’

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টি কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনে যথেষ্টসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এলাকায় এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কাজ করছে। মাঠে থাকবেন ৬০ জন ম্যাজিস্ট্রেট। এরই মধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন ৩৩ জন। এ ছাড়া ১১ প্লাটুন বিজিবির সঙ্গে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।  

এদিকে রোববার শেষ মুহূর্তে জমে ওঠে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার। একই সঙ্গে নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো চেকপোস্টে তল্লাশি করা হয় নগরীতে প্রবেশ করা মোটরসাইকেল আরোহীদের।

নির্বাচন পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘লাঙল মার্কার গণজোয়ার শুরু হয়েছে। ইভিএম নিয়েও কোনো ধরনের জটিলতা নেই। ’

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুত্ফা ডালিয়া বলেন, ‘ভোট শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে রংপুরবাসী। সিটির উন্নয়নের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দেবে তারা। ’

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৯ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছাড়াও রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল। এ ছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাসদের শফিয়ার রহমান, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সবারই দাবি, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাঁরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।

৯ জন মেয়র ছাড়াও নারীদের জন্য ১১টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নূরে আলম মিনা জানান, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং নির্বাচন এলাকা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

news24bd.tv/ইস্রাফিল