২০০২ সালে সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। এরপর আরও পাঁচবার বিশ্বকাপের মঞ্চে অংশ নিলেও শিরোপার দেখা আর পাওয়া পায়নি সেলেসাওদের। পূরণ হয়নি হেক্সা মিশনও। ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপে বেশ শক্ত দল নিয়েই ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে নেমেছিল ব্রাজিল।
কাতার বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর পূর্বের কথা অনুযায়ী, ব্রাজিলের দায়িত্ব ছেড়েছেন তিতে। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) এখন তাই ব্যস্ত তিতের শূন্য চেয়ারে যোগ্য কাউকে বসাতে। একটা বিশ্বকাপ জিততে ব্রাজিল এখন এতটাই মরিয়া যে, প্রথা ভেঙে দেশের বাইরের কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথা পর্যন্ত ভাবছে সিবিএফ।
আরও পড়ুন: তিতের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে আছেন যারা
চাঞ্চল্যকর খবর হচ্ছে, বিশ্বকাপ জিততে ফুটবলে নিজেদের চিরশত্রু আর্জেন্টাইনদের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছে সিবিএফ। এ খবর দিয়েছে ফ্রান্সের বিখ্যাত গণমাধ্যম ‘লেকিপ’। ব্রাজিলের পরবর্তী কোচ হওয়ার দৌড়ে শুরু থেকেই ছিল ফ্রান্সের কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান এবং পর্তুগিজ কিংবদন্তি জোসে মরিনিয়োর নাম। লেকিপ বলছে সিবিএফের বিবেচনায় আছেন দুই আর্জেন্টাইনও। একজন মার্সেলো গালার্দো, অপরজন মরিসিও পচেত্তিনো। যারা দুজনই এখন চাকরিহীন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে জিদান
আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলানোর জন্য লাতিন আমেরিকায় বেশ নাম আছে গালার্দোর। দল পরিচালনার পাশাপাশি তার কৌশলগুনও দুর্দান্ত। রিভার প্লেটের হয়ে অনেক সাফল্যও আছে তার। কিছুদিন আগে রিভার প্লেটের দায়িত্ব ছেড়ে বর্তমানে বিশ্রামে আছেন গালার্দো। পচেত্তিনোও এখন বেকার। কিছুদিন আগে পিএসজির চাকরি হারানোর পর নতুন কোনো দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হেক্সা স্বপ্ন পূরণে খ্যাতনামা কোচ মরিনহোর দ্বারস্থ ব্রাজিল
লেকিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিবিএফ এমন কাউকে খুঁজছে যারা এই মুহূর্তে অন্য কোনো দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নয়। এছাড়া ভালো মানের কাজের অভিজ্ঞতাও আছে। ফরাসি দৈনিকের খবরটি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রাজিলের ক্রীড়া দৈনিক লান্সও। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে নেইমারদের জন্য কোচ ঠিক করে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে লেকিপ।
সম্ভাব্য তালিকায় জিদান, মরিনিয়োসহ আরও বেশ কয়েকটি নাম থাকলেও দুই আর্জেন্টাইনকে নিয়ে এরইমধ্যে বাড়তি কৌতূহল দেখা দিয়েছে। সেটা যে তারা আর্জেন্টাইন হওয়ায়, তা কী আর আলাদা করে বলতে হয়!
news24bd.tv/সাব্বির