চাকরি ছাড়ছেন হোয়াইট হাউজের পরামর্শক ডন ম্যাকগান

ট্রাম্পের পেছনে ডন ম্যাকগান। সংগৃহীত ছবি

চাকরি ছাড়ছেন হোয়াইট হাউজের পরামর্শক ডন ম্যাকগান

নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন

এবার ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন হোয়াইট হাউসের আরও এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি হোয়াইট হাউসের পরামর্শক ও আইনজীবী ডন ম্যাকগান (Don McGahn)। দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি।  মাসখানেকের মধ্যেই তাকে বিদায় নিতে হতে পারে বলে জানা গেছে।

গতকাল বুধবার এক টুইটে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি ব্রেট কাভানাউয়ের নিশ্চিতকরণের পরেই তিনি চাকরি ছেড়ে যাবেন। টুইটে ট্রাম্প এও বলেন, ''ডন ম্যাকগানের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি, তার কাজ সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার''।

যদিও ম্যাকগান বলেছেন, এ নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি।

কিন্তু ট্রাম্পের টুইট দেখে তিনি হতবাক হয়েছেন।

ম্যাকগান ছিলেন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের একজন আইনজীবী। হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়া জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি হবেন সর্বশেষ ব্যক্তি।  

এদিকে বিষয়টি সেচ্ছায় সরে দাঁড়ানো নাকি পদচ্যুত তা নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, বিগত মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে ম্যাকগানের সহযোগিতায় অস্বস্তিতে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর এ কারণেই তার বিদায়।

মূলত, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতা ইস্যুতেই ডন ম্যাকগানকে চাকরি ছাড়তে হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।  ওই ঘটনা তদন্তে ম্যাকগানের সহযোগিতার খবর প্রকাশের পরই তার এ প্রস্থানের বিষয়টি সামনে এলো। গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, গত নয় মাসে ম্যাকগান ৩০ ঘন্টা তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তদন্তের স্বার্থে তাকে ডাকা হয়। তিনি মার্কিন বিচার বিভাগের বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের সঙ্গে দেখা করেছেন যিনি এই তদন্তদলের প্রধান।  স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারকে তিনি ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করেছেন। তার 'সহযোগিতায় অস্বস্তিতে' পড়েছে হোয়াইট হাউস। এরপরই ডন ম্যাকগানের পদচ্যুত হওয়ার খবর এলো।

যদিও মুলারের এ তদন্তকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ম্যাকগানের ঘনিষ্ঠ একজন ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, আগামী শরতে তাঁর পদত্যাগের পরিকল্পনা রয়েছে।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং সে সময়ের রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে জয়ী করার ক্ষেত্রে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে আঁতাত করার অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তদন্ত করছেন দেশটির বিচার বিভাগের স্পেশাল কাউনসেল রবার্ট মুলার। -সিএনএন, নিউইয়ক টাইমস।

সম্পর্কিত খবর