রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার রোনালদো: এরদোয়ান

সংগৃহীত ছবি

রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার রোনালদো: এরদোয়ান

অনলাইন ডেস্ক

স্বপ্নের মতো এক ফুটবল ক্যারিয়ার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। যে কোনো তরুণ ফুটবলারের কাছে মডেল তিনি। প্রতিপক্ষের রক্ষণ কেঁপে ওঠেছে রোনালদোর নাম শোনার পর। একটা সময় দেখে মনে হতো জড়পদার্থ বলটাও বুঝি রোনালদোর কথা শোনে।

সেই রোনালদোই কি না চরম বাজে সময় পার করছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এতোটা বাজে বছর হয়তো কখনোই কাটাননি রোনালদো। হঠাৎ এমন হওয়ার কারণ কি। সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন রোনালদো ভক্ত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

২০২২ সালটাকে হয়তো জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাইবেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যেই স্বপ্ন নিয়ে ফিরেছিলেন সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেননি পর্তুগিজ সুপারস্টার। বেশ কবার বিবাদে জড়িয়েছেন কোচ এরিক টেন হ্যাগের সাথেও। ক্লাব ছাড়তে চেয়েও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি তিনি। সময়টা ভালো কাটেনি জাতীয় দলেও। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় বিশ্বমঞ্চে নজর কাড়তে পারেননি তিনি। তার উপর বিশ্বাস হারিয়েছে তার কোচও।  

ঠিক ‘রোনালদোসুলভ’ ছিলেন না গ্রুপ পর্বে। করেছেন মোটে ১ গোল। দ্বিতীয় রাউন্ডের শুরুতে কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন। এরপর পর্তুগাল কোচ তাকে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠেই নামাননি। তার বদলে গনসালো রামোসকে নামালে তিনি হ্যাটট্রিকই করে বসলেন। পর্তুগাল রোনালদোর প্রভাব ছাড়াই জিতল ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। কোয়ার্টার ফাইনালে অবশ্য মরক্কোর বিপক্ষে তাদের হারতে হলো ১-০ গোলে। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা এতটা বাজে কাটাতে চাননি রোনালদো। মরক্কোর বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের রোনালদোর কাঁদতে কাঁদতে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া যেন ছিল ফুটবল–ইতিহাসের একটি অধ্যায়েরই পরিসমাপ্তি।  

রোনালদোর এমন অবস্থায় মন খারাপ রোনালদো-ভক্তদের। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও রোনালদোর কড়া ভক্ত। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক কারণেই রোনালদোর এমন পরিণতি।  

সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এরদোয়ানের দাবি, ‘ওরা রোনালদোকে নষ্ট করেছে। এটা দুর্ভাগ্যের। ওর ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রোনালদোর মতো ফুটবলারকে বসিয়ে রাখা, ম্যাচের ৩০ মিনিট বাকি থাকতে নামানো অপমানের শামিল। এটা করাই হয়েছে রোনালদোকে মানসিক ধাক্কা দিতে। ওর শক্তিই কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট অবশ্য রোনালদোর ওপর সেই ‘রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’র কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

news24bd.tv/আমিরুল