শীত শুরু হলেই ঝিনাইদহের গ্রামাঞ্চলে কুমড়াবড়ি বানানোর ধুম পড়ে যায়। গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু কুমড়াবড়ি গ্রামের নারীরা সারা বছরের জন্য তৈরি করেন বিভিন্ন তরকারির মধ্যে দিয়ে রান্না করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু কুমড়াবড়ি এই প্রথম তৈরি করা হচ্ছে বাণিজ্যকভাবে। যা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে হচ্ছেন লাভবান।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার ওয়াহিদ হাসান নামে এক শিক্ষিত যুবক লেখাপড়া শেষ করে চাকুরির পেছনে না ছুটে ব্যবসায়ের পাশাপাশি করেছেন কুমড়াবড়ি তৈরির কারখানা। বড়ি তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কালো মাসকালাই ডাল ও চাল-কুমড়া। ডাল ও কুমড়ার মিশ্রণ করে আগে মেশিনে পেস্ট করা হচ্ছে। এরপর শীতের সকালে নারীরা নেটের উপর ছোট ছোট করে বড়ি বসাচ্ছেন।
এ সম্পর্কে কারখানা মালিক ওয়াহিদ হাসান জানান, এটি মৌসুমি খাবার ও নতুন ব্যবসা হিসাবে শুরু করেছি। প্রতিদিন ১০ মণ বড়ি তৈরি করতে খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা। সব খরচ মিটিয়ে তা থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা লাভ হয়। এর পাশাপাশি বাকি সময়ে অন্যান্য ব্যবসার কথা ভাবছি।
বাণিজ্যিকভাবে কুমড়াবড়ি তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করণের জন্য সকল প্রকার কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ঋণ দিয়ে সহযোগীতার আশ্বাস দেন ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মো. আজগর আলী।
news24bd.tv/রিমু