নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার একটি কাঠের সেতু ভেঙে পড়ে আছে কয়েক মাস ধরে। সেতুটি সংস্কার বা নির্মাণেও নেই কোনো উদ্যোগ।
সেতু নির্মাণের পর এক যুগ ধরে সেতুটির জন্য নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে হেঁটেই সেই পথ পার করে আসছিল স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নবগঙ্গা নদীর উত্তরে চোরখালী, জয়পুর আর ছাতড়া গ্রাম নিয়ে গঠিত ১নং ওয়ার্ড।
কচুবাড়িয়া গ্রামের শ্যাম সুন্দর বলেন, 'সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়। এতে আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। ব্রিজটা দ্রুত মোরামত করলে সময় বাঁচবে এবং আর্থিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে'।
ধোপাদাহ গ্রামের জাহিদুল হক জানান, তাদের ছেলেমেয়ে ওপারের মাদ্রাসায় পড়ে। তারা এখন ঠিকমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। এ ছাড়া নড়াইল সদর হাসপাতালে ও কোর্টে ঠিকমতো যেতে পারছে না। এক মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে সময় লাগছে এক ঘণ্টা। তারপর আবার সময়মতো এখান থেকে গাড়ি পাওয়া যায় না। ব্রিজটা তাদের খুবই জরুরি।
এলাকাবাসীর দাবি, জেলার 'সি' শ্রেণির এই পৌরসভার চার ভাগের একভাগ মানুষের সহজ যাতায়াতের জন্য সেতুটি যেন মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। সেই সাথে স্কুলে যাতায়াত ও সাধারণের অফিস-আদালত, হাট-বাজারসহ মূল সড়কে সংক্ষিপ্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়ে মূল সড়কে সংযুক্ত করে দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
এই ব্যাপারে লোহাগড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও লোহাগড়া উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিয়ুর রহমান বলেন, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানলেও ক্ষতিপূরণ বা ড্রেজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারেননি। তবে এই মুহূর্তে সেতু মেরামতের কথা না ভেবে সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজের নির্মাণের কথা ভাবছেন তিনি।
news24bd.tv/রিমু
