মেট্রোরেলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা যেসব সুবিধা পাবেন

সংগৃহীত ছবি

মেট্রোরেলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা যেসব সুবিধা পাবেন

অনলাইন ডেস্ক

বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় উত্তরার দিয়াবাড়িতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই স্বপ্নের স্থাপনার উদ্বোধন করেন তিনি। নগরীর সবচেয়ে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার প্রথম যাত্রী হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ট্রেনের প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেল ভ্রমণ করবেন তিনি।

আর সেই ট্রেনটি চালাবেন নারী চালক মরিয়ম আফিজা।

মেট্রোরেলে এবং মেট্রো স্টেশনে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা থাকবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের যাতায়াতের জন্য। হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ও খর্বাকায় ব্যক্তিরা যাতে মেশিন থেকে সহজে টিকিট সংগ্রহ করতে পারে, সে জন্য অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় আলাদা টিকিট বুথ থাকবে। একইভাবে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীরা যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের টিকিট সংগ্রহ করতে পারে, সে ব্যবস্থাও থাকবে।

হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের পেইড জোনে সহজে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য হুইলচেয়ারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ভাড়া পরিশোধের প্রশস্ত গেট থাকবে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের লিফটে সহজে ওঠানামার সুবিধার্থে লিফটের ভেতরে ধরার হাতল, নিম্ন উচ্চতায় কন্ট্রোল প্যানেল এবং নিজের অবস্থান বোঝার জন্য আয়না থাকবে। লিফটের কন্ট্রোল প্যানেলে ব্রেইল পদ্ধতিতে নির্দেশনাও থাকবে। হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে স্টেশনে ওঠানামার জন্য লিফটের সামনে ঢালু পথ (র‍্যাম্প) থাকবে।

এ ছাড়া কনকোর্স এলাকায় বিশেষ সুবিধাসংবলিত ও সজ্জিত বাথরুমের ব্যবস্থা থাকবে। বধির যাত্রীরা ডিজিটাল নির্দেশিকা অনুসরণ করে স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রো স্টেশনে ও মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবে।

অন্ধ যাত্রীদের মেট্রো স্টেশনে চলাচলের জন্য ব্লাইন্ড স্টিক ব্যবহারের সুবিধার্থে হলুদ রঙের ট্যাকটাইল পথের ব্যবস্থা রাখা হবে।

টয়লেট, লিফট ও অগ্রাধিকার আসন সহজে বোঝার জন্য প্ল্যাটফরম ও মেট্রোরেলে শনাক্তকারী চিহ্ন থাকবে। স্টেশন এলাকায় এবং মেট্রোরেলের ভেতরে অডিও ও ভিজ্যুয়াল ইনফরমেশন সিস্টেম থাকবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অন্যান্য যাত্রীর মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রীরাও শোনা ও দেখার মাধ্যমে সহজে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবে।

যাত্রীদের পদস্খলনজনিত দুর্ঘটনা রোধ এবং হুইলচেয়ার ও ব্লাইন্ড স্টিক ব্যবহারের সুবিধার্থে মেট্রোরেলের কোচের ফ্লোর এবং স্টেশনের প্ল্যাটফরমের উপরিভাগ একই সমতলে রাখতে মেট্রো কোচের নিচে অত্যাধুনিক এয়ার ব্যাগ সাসপেনশন সংযোজন করা হচ্ছে। মেট্রো কোচের বহির্ভাগ ও প্ল্যাটফরমের মধ্যে সর্বত্র এমনভাবে ফাঁকা রাখা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা নিরাপদে ও সহজে মেট্রো ট্রেনে ওঠানামা করতে পারে।

এদিকে মেট্রোরেলের ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। মেট্রোরেলে চলাচল করতে শিশু ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়া দিতে হবে না বলে জানিয়েছে এই কোম্পানিটি। তবে অবশ্যই শিশুর উচ্চতা তিন ফুটের কম হতে হবে এবং সঙ্গে অভিভাবক থাকতে হবে। কিন্তু অভিভাবক সঙ্গে না থাকলেও তিন ফুটের বেশি হলেই তাকে গুনতে হবে প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা। মেট্রোরেলে চড়তে গেলে সর্বনিম্ন ভাড়া দিতে হবে ২০ টাকা।

news24bd.tv/রিমু