বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলে ভ্রমণ সাধারণ যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২৯ ডিসেম্বর। প্রথমে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেককে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। দ্বিতীয় দিনেও আগারগাও স্টেশনে সকাল থেকেই যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যাত্রীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তি কমাতে এমআরটি পাস দেওয়ার কথা জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
সপ্তাহের ছয়দিন দেওয়া হবে এই পাস।শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এম ছিদ্দিক বলেন, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এমআরটি পাস সংগ্রহ করতে পারবেন মেট্রোরেলের যাত্রীরা। শুধু মঙ্গলবার দেওয়া হবে না এ পাস।
উল্লেখ্য, চালুর প্রথম দিনে ৩ হাজার ৮৫৭ যাত্রী মেট্রোরেলে চড়েন। অনেকে টিকিট কাটতে না পারায় হতাশ হয়ে ফিরে যান। এর মধ্যে সিঙ্গেল টিকেট বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৭ শত ৫৬টি এবং মেট্রোপাস টিকিট ৯৯টি। এতে আয় হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৮৬০ টাকা। তাই দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর মেট্রোরেলে চড়তে লাইনে দাঁড়িয়ে যান বহু যাত্রী।
এদিকে মেট্রোরেল ভ্রমণে ইচ্ছুন যাত্রীদের ভোগান্তি কাটছে না। দ্বিতীয় দিনে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে একটি ভেন্ডিং মেশিন বিকল হয়ে যায়। কাউন্টারের দক্ষিণ পাশের একটি মেশিন থেকে যাত্রী টিকিট হাতে পেলেও টাকা কাটেনি। যাত্রী টিকেট কাটতে মেশিনে ১০০ টাকা দেন। পরে আরও ২০ টাকা দেন। এতে দুটি টিকিটসহ ৬০ টাকা ফেরত পান ওই যাত্রী। এরপর থেকেই বিকল হয়ে পড়ে মেশিনটি।
সকাল ৯টার দিকে আরও একটি মেশিন বিকল হয়ে পড়ে। তখন চালু থাক মেশিনটি ছিল একমাত্র ভরসা। তবে যাত্রীদের মেট্রোরেল যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে দেড় ঘণ্টা পর বিকল হওয়া দুটির মধ্যে একটি মেশিন সচল করে কর্তৃপক্ষ।
news24bd.tv/হারুন