মামলা তুলে না নেওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণ করতে দেননি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস আব্দুল রসিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের দাবি, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সাব্বির গাজী।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষার্থীর বাবা সাইদুর রহমান আব্দুল রসিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের বিষয় জানতে পেরে ২০২১ সালে পটুয়াখালী সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন।
এছাড়া বাছনিক পরীক্ষায় ৭৩ জন শিক্ষার্থীর মাত্র ৭ জন কৃতকার্য হয়। তবে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশের ১৫ থেকে ২০ দিন পর স্কুলের তিনতলায় একটি কক্ষে বই দেখে লিখিয়ে সব শিক্ষার্থীদের পাস করানো হয়।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে সাইদুর রহমান জানাতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল আলম তাকে মামালা তুলতে বলেন এবং মামলা তুললে সাব্বিরকে কৃতকার্য করে ফরম পূরণ করতে দেবেন।
শিক্ষার্থী সাব্বির গাজী বলেন, আমার বাবার সঙ্গে স্যারের বিরোধ থাকতে পারে সেজন্য আমার জীবন কেনো নষ্ট হবে। আমি ফরম পূরণ করে পরীক্ষা দিতে চাই। আমি লেখাপড়া করতে চাই। তবে মামলা না তুললে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা দিতে দেবেন না।
এ বিষয়ে সাব্বিরের বাবা সাইদুর রহমান বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল আলম বলেন, সাব্বির পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে সেজন্য তাকে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া তার বাবা স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা চালাচ্ছে সেজন্য তাকে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হয়নি এ ধরনের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
news24bd.tv/হারুন