বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ বছরে দেশ অনেক বদলে গেছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্কের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফর দু'দেশের সম্পর্ককে আরও নীবিড় করবে।

মানুষে মানুষে আত্মিক সম্পর্ক গভীরতর করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের ৩৪ সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, কাঁটাতারের বেড়া আমাদের এই বন্ধনকে বিভক্ত করতে পারেনি। কাঁটাতারের বেড়া আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য কৃষ্টি ভাষা, সবশেষে আমাদের ভালোবাসাকে বিভক্ত করতে পারেনি।

হাছান মাহমুদ  বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের এই আত্মিক সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে একাত্ম হয়েছে একাত্তর সালে। যখন আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতের সেনাবাহিনী রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের কষ্টের সাথে ভারতের মানুষও কষ্ট স্বীকার করেছে। এক কোটির বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। যতই কাঁটাতারের বেড়া দিক, কিংবা অন্য কোন আইন-কানুন হোক না কেন, রক্তের অক্ষরে লেখা হৃদয়ের এই বন্ধন কখনো বিভক্ত করা যাবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, মানুষের আত্মিক খোরাক জাগায়, অনুম্মোচিত বিষয়কে উম্মোচিত করে। সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সঠিক পথে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখে। এখান থেকে গিয়ে যখন আপনারা কলম ধরবেন কিংবা টেলিভিশনে রিপোর্টিং হবে তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে। আমাদের দেশের বদলে যাবার গল্পটা ভারতবাসী জানবে, বিশ্ববাসী জানবে।

তিনি আরও বলেন, পুরো পৃথিবী আজকে বাংলাদেশের প্রশংসা করে। কিন্তু আমাদের দেশের বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা দেখেও দেখে না, শোনেও শোনে না। তারা ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। পদ্মাসেতু দিয়ে পার হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতায় বলে কিছুই হয় নাই। এটিই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত সংগঠনের সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর, সাধারণ সম্পাদক কিংসুক প্রামাণিক, আসামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনোজ কুমার গোস্বামী প্রমুখ। ভারত থেকে সফরে আসা সাংবাদিকদের মধ্যে কলকাতার ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটির ৯ জন আছেন।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ভারতীয় সাংবাদিকদের নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতির স্থান পাহাড়তলীর ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শন করেন।

news24bd.tv/আলী