কুড়িগ্রামে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ

সংগৃহীত ছবি

কুড়িগ্রামে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

বারবার তলব করার পরও সাক্ষ্য দিতে না আসায় পুলিশের দুই এসআইয়ের বেতন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই দুই কর্মকর্তাকে ‘কেন সাজা দেওয়া হবে না’, তা সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (তৃতীয়) বিচারক মো. মজনু মিয়া এ আদেশ দেন। তবে আজ (রোববার) বিষয়টি জানাজানি হয়।

আদালতের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মামলা দায়েরের সময় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা রাজারহাট থানায় থাকলেও পরে বদলি হয়েছেন। বর্তমানে তারা কোথায় কর্মরত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আদেশের কপি বিধি অনুযায়ী রাজারহাট থানাসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, রাজারহাট থানায় ২০১৯ সালে করা একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশেদুজ্জামানকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করেন আদালত। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ১৮ বার প্রসেস ইস্যু করা হলেও তিনি সাক্ষ্য দিতে না আসায় আদালত শোকজ করেন। তিনি এরপরও আদালতে হাজির হয়ে শোকজের জবাব কিংবা সাক্ষ্য না দেওয়ায় আদালত তার বেতন বন্ধের আদেশ দেন।

অপরদিকে, একই থানায় ২০২১ সালের একটি মামলায় এজাহারকারী এসআই মো. তসির উদ্দিনকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করেন আদালত। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ১০ বার প্রসেস ইস্যু করা হলেও এসআই তসির উদ্দিন হাজির হননি। এরপর আদালত তাকে শোকজ করলে জবাব কিংবা হাজির হননি। ফলে তারও বেতন বন্ধের আদেশ দেন আদালত।

একইসঙ্গে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে কেন সাজা দেওয়া হবে না তা আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এসআই আশেদুজ্জামানকে ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং এসআই তসির উদ্দিনকে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

আদেশে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের তৎকালীন বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের ২০১৯ সালের একটি আদেশের বরাত দিয়ে আদালত বলেন, ‘যেসব সরকারি কর্মচারী মামলার সাক্ষী রয়েছেন তারা যদি সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হন, তাহলে অন্যান্য নির্দেশনার পাশাপাশি তাদের বেতন অটকে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ’ 

news24bd.tv/মামুন