বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিয়ের প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা আবদুস সালামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার ঢাকইর পূর্বপাড়া মহল্যায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সালাম ঢাকইর মধ্যপাড়ার সোলাইমান প্রামানিকের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং পেশায় দলিল লেখক। রোববার রাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর মা।
জানা গেছে, আবদুস সালামের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বাবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
ধস্তাধস্তির সময় স্কুলছাত্রীর মা বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি দেখেই চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আবদুস সালামকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় যুবলীগ নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার অযুহাতে আবদুস সালাম ওই বাড়িতে গিয়ে দেড় বছর ধরে তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইতো। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির শয়ন কক্ষে তার মেয়েকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সালাম। এ ঘটনাটি কাউকে জানালে স্কুলছাত্রীর বড় ধরণের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়েছিল সে।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুল ইসলাম জানান, আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
news24bd.tv/আলী