দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বেকায়দায় মানুষ

সংগৃহীত ছবি

দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বেকায়দায় মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহ আর কনকনে শীতের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। শীতের সকালে উত্তরে হিমেল বাতাস আর কুয়াশার কারণে বেশ বেকায়দায় পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।

ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষ।

শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এছাড়া দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীরগতিতে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। বাতাসেরে গতি ০০১ নটস।

জেলায় চলতি শীত মৌসুমে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্র ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

কয়েক দিন ধরেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সড়ক-মহাসড়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে এই কুয়াশা। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলছে সূর্যের লুকোচুরি। আবার সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা খুবই কম।

স্থানীয় ভ্যান চালক ইয়ামিন হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে কাজে বের হতে পারছি না। এই শীতে ভ্যান চালানো খুবই কষ্টকর। কুয়াশার মধ্যে ভ্যান চালালে রাস্তায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তবুও পেটের দায়ের বের হতে হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক রবিউল বলেন, শীত আর ঠান্ডা বাতাসের জন্য মাঠে আলু তোলার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও পাওয়া যাচ্ছে তাহলে তারা শীতের অযুহাতে মজুরি বেশি চাচ্ছে।

ইটভাটার শ্রমিক শাহিন ইসলাম বলেন, শীতের কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছি না। আজ ভাটায় যাই নাই। যে শীত আর ঠান্ডা বাতাস সঙ্গে কুয়াশার কারণে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৪ ভাগ। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে।

news24bd.tv/ইস্রাফিল