ডিম সঙ্কটে নিউজিল্যান্ড, মুরগি পালনের হিড়িক

সংগৃহীত ছবি

ডিম সঙ্কটে নিউজিল্যান্ড, মুরগি পালনের হিড়িক

অনলাইন ডেস্ক

ডিমের সঙ্কট দেখা দিয়েছে নিউজিল্যান্ডে। দেশটির সুপার মার্কেটের ডিমের তাকগুলো খালি পড়ে রয়েছে। এর জেরে দেশটিতে লেয়ার মুরগি পালন বেড়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রাণী বিষয়ক একটি আইন কার্যকর হয়েছে। ও্ই আইন অনুযায়ী, ব্যাটারি খাঁচায় বন্দি করে মুরগি পালন করা যাবে না। এর ফলেই দেশটিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

খাঁচায় বন্দি করে মুরগি পালনে নিষেধাজ্ঞার কথা ২০১২ সালে জানিয়েছিল নিউজিল্যান্ড সরকার।

ওই সময় দেশটির ৮৬ শতাংশ লেয়ার মুরগি ব্যাটারি খাঁচায় বন্দি করে পালন হতো। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ব্যাটারি খাঁচায় বন্দি করে মুরগি পালন ১০ শতাংশ কমে যায়।

ডিমের এই সঙ্কট শেষ হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে দেশটির ডিম উৎপাদনকারীরা। তারা বলছে, ডিমের সঙ্কট মেটাতে যত মুরগির প্রয়োজন তা এখন আমাদের কাছে নেই। এখনও লাখ খানেকের বেশি মুরগি কম রয়েছে। এই সঙ্কট শেষ হতে আরও কয়েক মাস লাগবে।

দেশটির ডিম উৎপাদনকারী ফেডারেশন জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডিম চাষি তাদের পেশা ছেড়ে দিতে হয়েছে বা তাদের পদ্ধতিতে পরিবর্তন করেছে।

নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্য বিভাগের মুখপাত্র জেমস রায়ান বলেছেন, ‘এই সঙ্কট মানুষকে বাড়িতে মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ করছে। সবশেষ সাত দিনে অনলাইনে মুরগি ও প্রাণীটি সম্পর্কিত পণ্যের সার্চ আগের সপ্তাহের থেকে ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ’

তবে এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের পশু দাতব্য সংস্থা এসপিসিএ। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী গ্যাবি ক্লেজি বলেছেন, ‘গণহারে মুরগি পালন তেমন ভালো আইডিয়া নয়। দীর্ঘমেয়াদে দেখাশোনা না করতে পারলে মুরগি না নেওয়ায় উত্তম। ’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি লেয়ার মুরগি এক দশক বা এর থেকেও বেশি সময় বাঁচতে পারে। তবে জীবনের প্রথম ৩-৪ বছর তারা ডিম দিতে পারে। এমনটা অনেকেই হয়তো জানে না। ’

news24bd.tv/মামুন