ইয়েমেনে অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে ঢাকা

অপহরণের শিকার এ কে এম সুফিউল আনাম।

ইয়েমেনে অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়েমেনে অপহৃত বাংলাদেশি নাগরিক এ কে এম সুফিউল আনামকে উদ্ধারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানায় একাধিক গণমাধ্যম।

সুফিউল ইয়েমেনের অ্যাডেনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগের ফিল্ড সিকিউরিটি কোঅর্ডিনেশন অফিসার (হেড) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের আবিয়ান প্রদেশ থেকে তাঁর সঙ্গে আরও অপহরণের শিকার হন চার জাতিসংঘের কর্মী।

এই চারজন ইয়েমেনের নাগরিক।

সূত্রমতে, নিজ দেশের নাগরিককে উদ্ধারের জন্য চলতি মাসেই একটি দল ইয়েমেনে যাবে। পাঁচ সদস্যের দলটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাসহ কারিগরি পরামর্শক হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা থাকার কথা। প্রয়োজনে দলটি ইয়েমেন ছাড়াও ওমান, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবে।

নাম না প্রকাশের শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, মুক্তিপণের জন্য দুই কোটি টাকা দাবি করেছিল অপহরণকারীরা।

সুফিউল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল। তিনি সেনাবাহিনীতে ১৯৭৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করছিলেন। অপহৃত পাঁচ কর্মকর্তাকে উদ্ধারের জন্য জাতিসংঘ চেষ্টা চালালেও কোনো ফল পায়নি। ইয়েমেনের সরকারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত সেপ্টেম্বরে সুফিউল আনামের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তাঁর অপহরণকারীরা, যা বিশ্বব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ প্রকাশ করে। ভিডিওতে মুক্তির জন্য আকুতি জানিয়ে সুফিউল বলেন, 'আমাকে অপহরণ করেছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। ছয় মাস ধরে আমি কোথায় আছি, তা জানি না। আমি যদি মারা যাই, পরিবারও জানতে পারবে না। আমি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও আর্থ্রাইটিসের মতো জটিল সব রোগে ভুগছি। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। '

অপহরণকারীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আকুতি জানিয়ে সুফিউল আরও বলেন, 'আপনারা যদি দাবিগুলো মেনে নেন, তাহলে আজই আমাদের মুক্তি সম্ভব। তা না হলে আমাদের মরদেহ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। '

ইয়েমেনে ২০১৪ সালের শেষে রাজধানী সানা থেকে হুতি বিদ্রোহীরা ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই সহিংসতা বিরাজ করছে। পরবর্তীকালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব সামরিক জোট ক্ষমতাচ্যুত সরকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য হুতিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলা শুরু করে।

news24bd.tv/আলী