গরুর মাংসের চেয়ে পেঁয়াজের দাম বেশি!

সংগৃহীত ছবি

গরুর মাংসের চেয়ে পেঁয়াজের দাম বেশি!

অনলাইন ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসার সময় উপহার হিসেবে চকলেট বা খেজুর নিয়ে আসা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। দেশে থাকা স্বজনদের জন্য এসব উপহার নিয়ে আসেন বিদেশফেরত ব্যক্তিরা। তবে এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের মানুষ দুবাই থেকে ফিরছেন লাগেজভর্তি পেঁয়াজ নিয়ে। পেঁয়াজের উচ্চমূল্যের কারণেই এমনটা করছেন তারা।

এমনটাই জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।  

ফিলিপাইনে এক কেজি পেঁয়াজের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০০ পেসোসে যা বাংলাদেশি টাকায় ১১শ টাকাও বেশি। কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, সেখানে পেঁয়াজের দাম মুরগির মাংসের চেয়ে তিনগুণ এবং গরুর মাংসের চেয়ে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। এ কারণে এখন চকলেট বা খেজুরের পরিবর্তে লাগেজভর্তি পেঁয়াজ নিয়ে দেশে ফিরছেন ফিলিপিনোরা।

 

দুবাইয়ের বাসিন্দা জাযে বলেন, পেঁয়াজ এখন সবচেয়ে সেরা উপহার। ডিসেম্বরে ১০ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে ম্যানিলায় যান তিনি। জাযে বলেন, আমি আমার বন্ধুদের বলেছি আমি তাদের শুধু পেঁয়াজ আর আদা দিতে পারবো। বিনামূল্যে দামী এই উপহার পেয়ে তারা খুশি হয়েছে! তিনি খালিজ টাইমসকে জানান, তিনি দুবাই থেকে প্রতি কেজি ২ ডলারে পেঁয়াজ কিনেছেন যা তার দেশে অসম্ভব।

দুবাইয়ের চাকরি করেন ফিলিপাইনের নাগরিক ডিনা গাকুলা।  বাড়িতে ফেরার সময় ৪ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে এসেছেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমি যখন বোর্ডিং গেটে আমার ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন আমার সাথে ভ্রমণ করা অনেক ফিলিপিনো বলছিলেন তাদের লাগেজে পেয়াজ রয়েছে। বিষয়টি এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।  

পিলিপাইনের নিম্ন আয়ের মানুষের এক দিনের মজুরিতে পাওয়া যাচ্ছে না এক কেজি পেয়াজ। ফিলিপাইনের মানুষের খাবারে পেয়াজ এক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। দেশটিতে প্রতি মাসে গড়ে ১৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, আবহাওয়া এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

দাম বৃদ্ধির ফলে চোরাই পথে ঢুকছে পেঁয়াজ। গত মাসে চীন থেকে আসা রুটির কন্টেইনারে ৩ লাখ ৬২ হাজার ডলারের লাল পেঁয়াজ এবং ৩ লাখ ৯ হাজার ডলারের সাদা পেঁয়াজ জব্দ করেছে দেশটির কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসব পেঁয়াজ বৈধভাবে বিক্রির চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।  

news24bd.tv/আজিজ