'বাসচালকদের বেতনভুক্ত না করলে রুট পারমিট বন্ধ'

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া

'বাসচালকদের বেতনভুক্ত না করলে রুট পারমিট বন্ধ'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বাসচালকদের বেতনভুক্ত না করলে রুট পারমিট বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চুক্তিতে পারিশ্রমিক নয়, বাসচালকদের বেতনভুক্ত করতে হবে। অন্যথায় রুট পারমিট বাতিল করা হবে।

প্রত্যেক চালককে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।

মাসব্যাপী ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকা মহানগরের রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেপ্টেম্বরে মাসব্যাপী বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ডিএমপি। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যতদিন শৃঙ্খলা ফিরে আসে না আসবে, তত দিন পুলিশ কাজ করে যাবে।

এ সময় সড়কে শৃঙ্খলা না ফেরার কারণও জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের পাশাপাশি রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা পুলিশের সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে।

তিনি বলেন, বাসস্টপ নির্ধারণের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেখানে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে।

সড়কে যত্রতত্র বাস থামানো যাবে না। বাস থামানোর জন্য আমরা স্টপেজ নির্ধারণ করে দেব। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজে যাওয়ার পথে কোথাও বাস থামানো যাবে না এবং বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে।

যেসব গাড়ি বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্য অবৈধভাবে পতাকা ব্যবহার করে, তাদের পতাকা নামিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। না হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

রাজধানীর জাহাঙ্গীরগেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মডেল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পেট্রল পাম্পগুলোর মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি- মোটরসাইকেলে যাদের হেলমেট থাকবে না, তাদের তেল দেয়া হবে না। মোটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী উঠতে পারবে না। যাত্রীকে অবশ্যই হেলমেট পরতে হবে। ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রাক্রসিং ও আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তা পার হওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, গত ছয় মাসে চালক ও যানবাহনের বিরুদ্ধে ৬ লাখ ২৬ হাজার আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও দেখে ৯৯ লাখ মামলা করা হয়েছে। ঈদের আগে যে ১০ দিন ট্রাফিক সপ্তাহ ছিল, ওই সময়ে ৮৮ হাজার ২৯৩ মামলায় ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


▐ NEWS24/কামরুল

সম্পর্কিত খবর