সেদিন কাজে যেতে নিষেধ করেছিলেন নিহত বিমানবালার বাবা

সংগৃহীত ছবি

নেপালের বিমান দুর্ঘটনা

সেদিন কাজে যেতে নিষেধ করেছিলেন নিহত বিমানবালার বাবা

অনলাইন ডেস্ক

গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে নেপাল। রোববার ইয়েতি এয়ারলাইনের একটি বিমান বিধ্বংস হতে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। বিমানে দুই বিমানবালার একজন ছিলেন ওশিন আলে মাগার। তার মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গেছেন বাবা মোহন।

 

রবিবার ছিল মাঘে সংক্রান্তি উৎসব। মকর সংক্রান্তির দিনটিকে এই নামেই উদ্‌যাপন করেন নেপালের মানুষ। উৎসবের দিনে মেয়েকে কাজে যেতে নিষেধ করেছিলেন ওশিনের বাবা মোহন। একটা দিন পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করে কাটাতে বলেছিলেন তাঁকে।

কিন্তু ওশিন বাবার কথা শোনেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, দু’টি ফ্লাইটে কাজ সেরে ফিরবেন। বাবার কথা না রাখতে পারলেও বাবাকে ওশিন কথা দিয়েছিলেন, তিনি ফিরে এসে মাঘে সংক্রান্তি উদ্‌যাপন করবেন। কিন্তু নিয়তি তা হতে দিল না।

ওশিনের বাড়িতে উৎসবের আয়োজন চলছিল, ঠিক সেই সময় এই বিমান দুর্ঘটনার খবর পান তাঁর বাবা। নেপালের সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিলে চোখের জল থামাতে পারছিলেন না তিনি।

গত দু’বছর ধরে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কাজ করছিলেন ওশিন। তিনি নেপালের চিৎওয়ান জেলার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে কাঠমান্ডুতে থাকছিলেন। বাবা, মাকেও নিজের কাছে ডেকে নিয়েছিলেন ওশিন। তাঁর বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। দুই বোন এবং এক ভাই আছে ওশিনের। তাঁর স্বামী কাজের সূত্রে থাকেন ব্রিটেনে।

নেপালের অক্সফোর্ড কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন ওশিন। উচ্চশিক্ষা ভারতে। তারপর বিমানবালা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছে ওশিনের পরিবার। তাঁর বাবা এবং মা গিয়ে মেয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করে এসেছেন।

রোববার নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা সব আরোহী নিহত হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন।  

news24bd.tv/আজিজ