৪৫তম বিসিএসের সম্ভাব্য সময় জানালো পিএসসি

সংগৃহীত ছবি

৪৫তম বিসিএসের সম্ভাব্য সময় জানালো পিএসসি

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলতি বছরের মার্চের মধ্যে আয়োজনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরীক্ষা না পিছিয়ে চলতি মাসে কমিশন সভায় দিন নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।  

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর কোনো চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তিতে সম্ভাব্য মার্চের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজন করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘এক বছরের মধ্যে ৪৫তম বিসিএসের সব ধাপের পরীক্ষা শেষ করে ফল প্রকাশ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া এ পরীক্ষা পেছানোর কথা ভাবা হচ্ছে না। চলতি মাসে কমিশনের সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

’ সেখানে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি। ’

জানা যায়, ৪৫তম বিসিএসে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫০ জন প্রার্থী। গত বছরের ৩০ নভেম্বর পিএসসির ওয়েবসাইটে ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আবেদন শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর। শেষ তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।

ক্যাডার পদের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনি নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন প্রার্থীরা।

৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে, নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।

এদিকে ৪৫তম বিসিএসের আবেদন করতে গিয়ে সমস্যা হওয়ায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করেছে পিএসসি। এবারই প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।

এ বছর আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে পবেশপত্র সরবরাহ করেনি পিএসসি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রবেশপত্র প্রদান শুরু হবে।

এ বিষয়ে পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা একসঙ্গে আবেদন করে ও টাকা জমা দিয়ে পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও পাশাপাশি বসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে এবার সম্পূর্ণ দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর জেনারেট হবে। যে কারণে এবার সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশপত্র ইস্যু না করে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ইস্যু করা হবে।

 news24bd.tv/ইস্রাফিল