তামিমের ব্যাটে রান, হারের বৃত্ত ভাঙল খুলনা

সংগৃহীত ছবি

তামিমের ব্যাটে রান, হারের বৃত্ত ভাঙল খুলনা

অনলাইন ডেস্ক

রানে ছিলেন না, তা বলা যাবে না। তবে তামিম ইকবাল স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিংটা করতে পারছিলেন না। আজ অবশেষে তামিমের ব্যাট হাসলো। তাতে তার দল খুলনা টাইগার্স ভাঙল হারের বৃত্ত।

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথম তিন ম্যাচেই হারে খুলনা। সেই তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই ব্যাট হাতে বড্ড নিষ্প্রভ ছিলেন তামিম। আজ মঙ্গলবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ফিফটি তুলে নেন এই তারকা ব্যাটার। তার ফিফটির সুবাদেই রংপুর রাইডার্সকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্টের খাতা খুললো খুলনা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা খুলনা টাইগার্সের লক্ষ্য ছিল ১৩০ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় খুলনার। উদ্বোধনী জুটিতেই দলটি তুলে ফেলে ৪১ রান। ২১ বলে ২১ রান করে মুনিম শাহরিয়ার ফিরলেও তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে বাকি পথটা অনায়াসে পাড়ি দেন তামিম ইকবাল। ১০ বল হাতে থাকতেই খুলনা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।

জয় তার পুরো ইনিংস খেলেছেন ধীরলয়ে। তবে তামিম ৩৫ বলে তুলে নেন ফিফটি। বিপিএল ক্যারিয়ারে এটা তামিমের ২৪তম ফিফটি। বিপিএলে ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। শেষ পর্যন্ত তামিম অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৬০ রান করে। ৪২ বল খেলা জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। রংপুরের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি পান আজমতুল্লাহ ওমরজাই।

এর আগেম টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুর শুরু থেকেই ধুকেছে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার রনি তালুকদারকে হারায় রংপুর। শূন্যরানে ফেরেন তিনি। তিনে নেমে মোহাম্মদ নাঈমও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর পারভেজ হোসেন ইমন ২৫ রান করে ফিরলে চাপে পড়ে যায় রংপুর। সেই চাপ ইনিংসের বাকি সময় আর কাটাতে পারেনি।

রংপুর সম্মানজনক স্কোর পায় অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসানের দায়িত্বশীল ইনিংসে। ৩৪ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে রাকিবুল হাসান ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। নুরুল হাসান সোহানের জায়গায় আজ অধিনায়কত্ব সামলানো শোয়েব মালিক করেন ৯ রান। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। মোহাম্মদ নেওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। এরপর আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ৯, রাকিবুল হাসানের ১২ এবং হাসান মাহমুদের ১ রানে ১২৯-এ থামে রংপুরের রানের চাকা। রংপুরের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা হারিস রউফ রানআউট হন রানের খাতা খোলার আগেই।

রংপুরের ইনিংস একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নেন এই পাকিস্তানি পেসার। পকেটে ৩ উইকেট পোরেন আমাদ বাট এবং ২ উইকেট গেছে নাহিদুল ইসলামের ঝুলিতে।

news24bd.tv/সাব্বির