উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি, এলাকায় আতঙ্ক

উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি, এলাকায় আতঙ্ক

অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্তে ‘বিজিবির আউটপোস্ট লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণের’ ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

বিজিবির সংশ্লিষ্টরা ঘটনার ব্যাপারে ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজীব জানিয়েছেন, ‘নবী হোসেন গ্রুপ নামে পরিচিত রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র দল অতর্কিতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শুনেছি।

’ এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মঙ্গরবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন ‘এখন রাত ১০টা। আমি ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। এখানে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছে।

তাদের সঙ্গে এলাকাবাসীও রয়েছেন। ’ গুলিবর্ষণের ঘটনার ব্যাপারে বিজিবিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, ওই এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে একজন পুরুষ ও নারী এপাড়ে আসার পর টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসা করার সময় মিয়ানমারের দিক থেকে পাতা রঙের পোশাক পরা একদল লোক গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ঘটনাস্থলে আসেন। তারা ওই পুরুষ ও নারীকে নিয়ে যায়। ’

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যায় পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্তে বিজিবির আউটপোস্ট লক্ষ্য করে মিয়ানমার দিক থেকে অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু হয়। অন্তত ২০-২৫ মিনিট পর্যন্ত চলে গুলিবর্ষণের ঘটনা। পরে বিজিবির স্থানীয় বিওপির সৈনিকরা পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে চলে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গুলিবর্ষণকারীরা মিয়ানমারের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য।

বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রহমতের বিল হাজির বাড়ি নামক এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এ সময় বিজিবি টহল দল তাদের জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় ঘটনাস্থলে তড়িৎ বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করলে ইয়াবা সন্ত্রাসীরা মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

 news24bd.tv/ইস্রাফিল