রেকর্ড ১৫০ কোটি মানুষ দেখেছে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল

সংগৃহীত ছবি

রেকর্ড ১৫০ কোটি মানুষ দেখেছে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল

অনলাইন ডেস্ক

কাতার বিশ্বকাপে বসেছিল রেকর্ডের মেলা। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত—বিশ্ব দেখেছে রেকর্ডের পর রেকর্ড।

টুর্নামেন্ট শেষের এক মাস পর ফিফা আরও এক রেকর্ডের তথ্য দিলো। ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা জানিয়েছে, দর্শকসংখ্যায় রেকর্ড গড়েছে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনাল।

বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ দেখেছে মেসি-এমবাপ্পেদের ধ্রুপদী লড়াই। আগের যেকোনো বিশ্বকাপ ফাইনালের চেয়ে যা অনেক বেশি! ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালই যেমন দেখেছিলেন ১১২ কোটি মানুষ।  

লুসাইলে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল গ্যালারিতে বসে দেখেছেন ৮৮ হাজার ৯৬৬ জন দর্শক। পুরো বিশ্বকাপে মাঠে বসে খেলা দেখা দর্শকদের সংখ্যা ৩৪ লাখ।

কাতার বিশ্বকাপ এখানেও ছাড়িয়ে গেছে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপকে। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্যালারিতে বসে ৩০ লাখ দর্শক খেলা দেখেছেন। কাতার বিশ্বকাপ দেখেছেন কিংবা কোনোভাবে বিশ্বকাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন মানুষের সংখ্যা ৫০০ কোটি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এই সংখ্যা ছিল ৩০০ কোটি ৫৭২ লাখ।

তথ্য ও বিশ্লেষণবিষয়ক মার্কিন প্রতিষ্ঠান নিয়েলসন জানিয়েছে, বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় পোস্ট করা হয়েছে ৯ কোটি ৩৬ লাখ। এসব পোস্টে প্রতিক্রিয়া এসেছে ৫৯৫ কোটি।

এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও কাতার বিশ্বকাপের দখলে। কাতার বিশ্বকাপে গোল হয়েছে ১৭২টি। এর আগে সর্বোচ্চ গোল হয়েছিল ১৯৯৮ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে। দুই বিশ্বকাপেই গোল হয়েছে ১৭১টি করে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম গোল এসেছে আলফানসো ডেভিসের কাছ থেকে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৬৮ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। স্পেনের তরুণ তুর্কি গাভি কাতার বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। তিনি অবশ্য পেলের পর বিশ্বকাপেরই সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা।

কাতার বিশ্বকাপ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানোর রোনালদোর জন্য দুইরকম কেটেছে।  মেসি আর্জেন্টিনায় ফিরেছেন বিশ্বকাপ ট্রফি সঙ্গে নিয়ে। রোনালদোকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এরপরও রোনালদো কাতারে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন। প্রথম ফুটবলার হিসেবে গোল করেছেন ভিন্ন পাঁচটি বিশ্বকাপে। অন্যদিকে বিশ্বকাপে শেষ ষোলো পর্ব যোগ হওয়ার পর থেকে মেসিই প্রথম, যিনি টানা চারটি নকআউটে ম্যাচে গোল পেয়েছেন।

কাতার বিশ্বকাপেই প্রথম একসঙ্গে তিনজন নারী রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। শেষ ষোলোতে এশিয়ার প্রতিনিধি ছিল তিনটি দেশ। এটাও বিশ্বকাপের ইতিহাসে ঘটেছে প্রথমবার। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল মরক্কো। কাতার বিশ্বকাপ সফলভাবে পরিচালনা করতে কাজ করেছেন ১৫০টি দেশের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ১৮ থেকে ৭৭—সব বয়সী মানুষই ছিলেন এই স্বেচ্ছাসেবক দলে।

news24bd.tv/সাব্বির