হাতকড়া পড়া মৃতদেহের পরিচয় মিলল ৮ দিন পর

হাতকড়া পড়া মৃতদেহের পরিচয় মিলল ৮ দিন পর

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও বিলমারী বিলে পাওয়া হাতকড়া লাগানো মৃতদেহের পরিচয় মিলল ৮ দিন পর। নিহত ওই যুবকের নাম আমিরুল ইসলাম আনিস (৩২)। সে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার নাকফাটা বয়রা মাসুম গ্রামের সাবের আলী সরকারের ছেলে।  

পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের  সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একই উপজেলার দারপুর গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে গোলাম আযম (৩০) কে আটক করেছে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক।  

গত ১০ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে বিলমারী বিল থেকে পেছনে দুই হাত একসঙ্গে হাতকড়া পড়া ও পা বাঁধা মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে সিআইডি ও পিবিআই এর একটি বিশেষ টীম এসে নিহতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করার চেষ্টা করলেও তা মিলেনি। এরপর নিহতকে শনাক্ত করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার ও অনুসন্ধান চালানোর ৮দিন পর তার পরিচয় মেলে।

 

থানার ওসি আবু সিদ্দিক হত্যা কাণ্ডের নেপথ্যের ঘটনা তুলে ধরে জানান, নিহত আমিরুল ইসলাম আনিস একটি মাছবাহী ট্রাকের হেলপার ছিলেন। এই কাজের অন্তরালে তিনি তার সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মূলত: নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব, পাশাপাশি গোপনীয়তা ফাঁসের আশঙ্কায় তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন সহযোগীরা। এরই কৌশল হিসেবে বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও এলাকায় অপারেশন চালাবে এমন কথা বলে তারা বনপাড়া বাইপাস মোড়ে একত্র হওয়ার পরিকল্পনা নেয়।  

ঘটনার রাতে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে দুইজন ও সিরাজগঞ্জ থেকে আনিস সহ দুইজন বনপাড়া বাইপাসে একত্র হয়। পরে মাঝগাঁও বউবাজার এলাকায় এসে বিল পাড়ি দেওয়ার কথা বলে মাঝ বিলে নিয়ে যায় আনিসকে। সেখানে  অপরাধ সংঘটিত করার জন্য নিয়ে আসা হাতকড়া, সড়কে মোটরসাইকেল আটকানোর জন্য আনা রশি দিয়ে তাকে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে সহযোগীরা। পরে লাশ ফেলে রেখে দুইজন ঢাকায় ও আটককৃত আযম সিরাজগঞ্জের নিজ গ্রামে চলে আসে। পরবর্তীতে ব্যাপক পুলিশি তদন্তে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায় ও আযমকে আটক করা হয়। ওসি আরও জানায়, অপর দুইজন সহ সংঘবদ্ধ চক্রের সকলকে আটকের চেষ্টা চলছে।  

news24bd.tv/কামরুল

সম্পর্কিত খবর