ই-অরেঞ্জের সোহেল রানার ভারতে সাজা: পুলিশ সদরদপ্তরের প্রতিবেদন

সোহেল রানা (ছবি: সংগৃহীত)

ই-অরেঞ্জের সোহেল রানার ভারতে সাজা: পুলিশ সদরদপ্তরের প্রতিবেদন

অনলাইন ডেস্ক

ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে বনানী থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) ও ই-কর্মাস সাইট ই-অরেঞ্জের সোহেল রানার সাজা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আলীপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এই প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা পড়েছে।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

তিনি জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রতিবেদন এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ই-অরেঞ্জের সোহেল রানার সাজা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন এখনো এফিডেভিট করা হয়নি।

এফিডেভিট করে হাইকোর্টে দাখিল করা হবে।

গত বছরের ৭ এপ্রিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বণ্টন করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। তখন অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন আদালত। এ ছাড়া এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়।

এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গত বছরের ৩ এপ্রিল ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তারেক আলম নামে এক ব্যক্তিসহ ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার ৫৪৭ গ্রাহক। রিটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাওয়া হয়।

গ্রাহকদের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম রিট আবেদনটি দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

news24bd.tv/মামুন