দেবর-ভাবীর ঠাণ্ডাযুদ্ধের শেষ কবে?

সংগৃহীত ছবি

দেবর-ভাবীর ঠাণ্ডাযুদ্ধের শেষ কবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

একদিকে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এরশাদপত্নী রওশন, অন্যদিকে চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বেশ কয়েক মাস ধরে দুই ধারায় চলছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলটির নেতাদের দাবি, তাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নাই।

যদিও রওশনপন্থী নেতা রাঙ্গা ও মৃধার মামলায় থমকে আছে চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যক্রম।

রাজনীতি বিশ্লেষকের মতে, নির্বাচনের আগে সরকারের কাছে, কোন পক্ষ বেশি গুরুত্ব পাবে, তার ওপরই নির্ভর করছে দলটির ভবিষ্যৎ কাঠামো।

রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের বিরোধ, জাতীয় পার্টিতে প্রকাশ্য না তবে গোপনও নয়। দলের বাইরে জনসম্মুখে এই বিভেদের বিস্ফোরণ ঘটে গেলো অক্টোবরে যেদিন আকস্মিক কাউন্সিল ডেকে বসেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।

চেয়ারম্যানপন্থী এমপিরা জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা ঘোষণা করে স্পিকারের কাছে আবেদন পাঠান।

দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় মসিউর রহমান রাঁঙ্গা এবং জিয়াউল হক মৃধাকে। এরপরেই রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতা তাদের বহিষ্কারাদেশ এবং চেয়ারম্যানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেন।

অভিযোগ করে সেসময়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দল থেকে বহিষ্কার নিয়মবহির্ভূত। চেয়ারম্যানের ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যদিকে জাপার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সকলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে জাপার অগ্রগতি সম্ভব নয়।

দলের ২৬ এমপির ১৮ জনের উপস্থিতিতে পাশাপাশি বসেই বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে সংসদীয় দলের সভা করেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং উপনেতা জি এম কাদের। ঐক্য ফেরাতে অনুরোধ জানান দুই এমপি।

তবে বাস্তবতা হলো, দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ এখনও ওঠেনি। এই আদেশের অনুমোদন হয় জাপার প্রেসিডিয়াম বৈঠকে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওই বৈঠক ডাকেন চেয়ারম্যান। আদালতের আদেশে চেয়ারম্যানের কার্যক্রম স্থগিত, তাই হচ্ছে না ওই বৈঠক।

এদিকে রাজনীতি বিশ্লেষক সোহরাব হাসানের মতে, সব জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে একধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। কখনো কোন জোটে যাবে অথবা সরকারের সঙ্গে কোন পক্ষ বেশি কাছাকাছি থাকবে এই দুই নিয়ে রেষারেষি চলে দলটির নেতাদের মধ্যে। তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচনে সরকারের সমর্থন পেতে কোন পক্ষ এগিয়ে থাকবে?- তা নিয়েই এই রেষারেষি।

কয়েক মাস ধরে জাতীয় পার্টির দুই ধারার এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে সরকারের একধরনের প্রভাব আছে বলেও মনে করেন দলটির কেউ কেউ।

news24bd.tv/FA